ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ করতে চান এনবিএফআই নেতারা

মূল্যস্ফীতির চাপে আমানতের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ঋণের সুদহার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার অনুমোদন চেয়েছে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2022, 05:25 PM
Updated : 24 May 2022, 05:25 PM

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ প্রস্তাব দেন।

এনবিএফআই প্রতিনিধি মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান সুদহারে আমানত পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে ঋণ সুদহার ১২ শতাংশ পর্যন্ত নেওয়ার অনুমোদন চেয়েছি।

“তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, যাচাই-বাছাই করে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।”

এনবিএফআই প্রতিষ্ঠানের আমানত সংগ্রহের প্রধান উৎস হচ্ছে ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকের আমানত সুদহার মূল্যস্ফীতির ওপরে এবং ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর আমানত ও ঋণের সুদহার বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, যা ওই বছর এপ্রিল থেকে কার্যকর রয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হারে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে আমানতে ৭ শতাংশ এবং ঋণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন এ হার কার্যকর হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় প্রথমবারের মতো সুদহার বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন নেওয়া আমানত ও ঋণের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা মানতে হবে।

তবে আগে থেকে নেওয়া ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত আগের হারই বহাল থাকবে। এই সুদহার কার্যকরের আগেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে ঋণের সুদহার ১২ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হল।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন ৩৬টি।

অবসায়নের পথে যেতে থাকা পিপিলস লিজিং আদালতের নির্দেশে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তালিকাভুক্ত হওয়ায় পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে কোম্পানিটির।

এনবিএফআইগুলোতে গত ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। একই সময়ে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ৬৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।