ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনের এ ঘোষণা বৃহস্পতিবার হোটেল শেরাটনে ঘোষণা করে শাওমি বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সংযোজন কারখানাটিতে শাওমি বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ স্মার্টফোন তৈরি করবে। প্রাথমিক অবস্থায় এই কারখানায় প্রায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের কারখানাটির অবস্থান গাজীপুরের বাইপাস রোডের কাছে ভগরায়।
শাওমি বাংলাদেশে কারখানাটিতে রেডমি সাব-ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করছে ফোন উৎপাদন, যেটি আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে শাওমির অন্য স্মার্টফোনের পাশাপাশি পোকোর ফোনও তৈরি হবে কারখানায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার হিসাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যান্ড্রের ১৪টি মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতা বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট সংযোজরের মাধ্যমে উৎপাদন শুরু করেছে।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনের মধ্য দিয়ে শাওমি আরও এগিয়ে গেল, স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের বাজারে দীর্ঘস্থায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সেই সঙ্গে দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আমরা অবদান রাখতে পারছি।“
প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্পখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “তরুণ নেতৃত্ব ও শাওমির মতো তরুণ কোম্পানির ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। এমন নতুন প্রজন্মের সব কোম্পানি ও উদ্যোক্তাই হচ্ছে বাংলাদেশের একেকটা সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শাওমির প্রথম উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আমরা অংশীদার হতে পেরে অনেক আনন্দিত।”
“আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক মানের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে এমন সূর্যোদয়ের জন্য শাওমিকে স্বাগতম।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমদানিকারক দেশ থেকে স্মার্টফোন উৎপাদক দেশ হওয়ায় জন্য আমরা বহুদিন থেকেই যুদ্ধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন, সেটার বাস্তবায়ন এখন দেখা যাচ্ছে। মহামারীর সময় সেটা আমরা টের পেয়েছি। ডিজিটাল ডিভাইসের গুরুত্ব আমরা বুঝেছি। শাওমি অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এমনটাই আমাদের বিশ্বাস।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য শাওমিকে অভিনন্দন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। আমার বিশ্বাস, এখন থেকে দেশের মানুষ একটি প্রতিযোগিতামূলক দামে, বিশ্বমানের শাওমির সর্বশেষ সব উদ্ভাবনী পণ্য উপভোগ করতে পারবেন।”
শাওমি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এবং ২০১৮ সালের ৯ জুলাই হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়।
শাওমি একটি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোনসহ স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি; যার মূল হলো স্মার্ট হার্ডওয়্যার এবং ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি প্লাটফর্ম।
শাওমি জানায়, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে শাওমির অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শাওমির পণ্যগুলো ব্যবহার হচ্ছে।