রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশের ফলে সংগঠনটির নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এফবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের করা রুল খারিজের এ আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও সানজিদ সিদ্দিকী; রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ইমতিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এফবিসিসিআই হচ্ছে চেম্বার আর অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠন। ফলে এফবিসিসিআইয়ে ব্যক্তি সদস্য বলে কিছু নাই। চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোই এর সদস্য। এই চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো তাদের নিজস্ব সভায় পাঁচজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করে ভোট দেওয়ার জন্য।
“রিট আবেদনকারী ওয়েস্ট পেপারস সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত পাঁচজন প্রতিনিধির একজন হলেও অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাকে রিট আবেদন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এটা তো জনস্বার্থের মামলা না যে তিনি ব্যক্তি হিসেবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। এখানে সংক্ষুব্ধ হতে হবে অ্যাসোসিয়েশনকে। ফলে এই রিটের ক্ষেত্রে তার এখতিয়ারই নাই।”
পদ আর প্রার্থী সমান সমান হয়ে যাওয়ায় বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ১৯৯৪ এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী এই ৪৬ প্রার্থীই নির্বাচিত বলে বিবেচিত হবেন। যে কারণে ৫ মে’র নির্বাচনে জনসমাগম ঘটার সুযোগ নেই। ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন স্থগিত প্রশ্নে যে রুল জারি করা হয়েছিল সেটির কার্যকারিতা থাকছে না। এদুটি যুক্তিতে রুল খারিজের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে রুল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বাধা থাকছে না।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২০২৩ মেয়াদের এফবিসিসিআইর পরিচালনা পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
ওইদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালকের কাছে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন ওয়েস্ট পেপারস সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি আমির উদ্দিন দীপু।
এ আবেদনে সাড়া না দিলে বণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালকের নিস্ক্রিয়তা ও গত ৭ এপ্রিল নির্বাচন সংক্রান্ত জারি করা একটি নোটিসের একটি নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে ১৯ এপ্রিল হাই কোর্টে রিট করেন তিনি।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২০ এপ্রিল রিুলসহ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
নির্বাচন স্থগিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালকের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ৭ এপ্রিল জারি করা নোটিসের একটি নির্দেশনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সে রুল খারিজ করতেই এফবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল।