আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ব্যাংক সাতটি হচ্ছে- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
সিরাজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোভিড-১৯ এর ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকার এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল। কিন্তু এই তহবিল থেকে এই সাত ব্যাংক ঋণ বিতরণ না করায় তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।”
সাত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উদ্দেশ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে।
নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সক্ষম করা এবং তাদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড সচল রাখার লক্ষ্যে এ স্কিম সরকারেরও একটি প্রাধিকারভুক্ত স্কিম। স্কিম গঠনের পর ইতোমধ্যে ছয় মাস সময় পেরিয়ে গেছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য হারে ঋণ বিতরণে সক্ষম হলেও সরকারি সাত ব্যাংক কোনো ঋণ বিতরণ করেনি বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চিঠিতে সাত ব্যাংকের এমডিকে বলা হয়েছে, “এই স্কিম বাস্তবায়নে আপনাদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য সাত দিনের মধ্যে ঋণ বিতরণ না করার কারণ ও ঋণ বিতরণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে হবে।”
এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সোনালী ব্যাংক ১২৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ৪০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ১ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৫ কোটি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিন হাজার কোটি টাকার এই তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়। আর ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোকে (এমএফআই)। তাদের কাছ থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ঋণ পায় ৯ শতাংশ সুদে।
আগে এমএফআইগুলোর ঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ। এ তহবিল থেকে জামানত ছাড়াই নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঋণ পাবেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সাড়া না দিলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো এই ঋণ দেওয়ায় এগিয়ে আসছে। ফলে সারা দেশের প্রায় ৬০ হাজার উদ্যোক্তা ৯ শতাংশ সুদে এমএফআই থেকে ঋণ পেয়েছেন।