২০২০ সালের অর্থবিল সংসদে পাসের দিন সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে পুরনো গাড়ির ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুরাতন গাড়ি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বলেন, “পুরাতন গাড়িগুলোর মডেল এবং বিক্রয় মূল্য বিবেচনা করে কর ধরলে মধ্যবিত্তরা গাড়ি কিনবে, আর গাড়ি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবে।”
ঢাকা মহানগর পুরাতন গাড়ি ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্যরা দেশে নিবন্ধিত পুরনো গাড়ি কিনে ঠিকঠাক করে পুনরায় বিক্রি করেন।
মাইনুল বলেন, “২০১৪ বা ২০১৬ সালে তৈরি একটা আমদানি করা গাড়ি ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর আমরা যেসব গাড়ি বিক্রি করি, সেগুলো ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরাতন, সেগুলোর দাম ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।
“কিন্তু বছর শেষে নবায়ন করতে গেলে ৩০ লাখ টাকার গাড়িতে যে টাকা দিতে হয়, ৩ লাখ টাকার গাড়িতে সেই টাকাই দিতে হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সালে তৈরি ১৫০০ সিসির একটি গাড়ি বিক্রি হয় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকায়। সেই ১৫০০ সিসির গাড়ির এবার নবায়ন ফি ধরা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩২ হাজার টাকা। ১৫০০ সিসির একটি নতুন গাড়ির নবায়ন ফিও একই।
মাইনুল বলেন, “বাংলাদেশে যত গাড়ি আছে, তার ৮০ শতাংশই ১৫০০ সিসির কম। আর বেশির ভাগ গাড়ি ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরাতন।
“আর পুরাতন গাড়ির বেশির ভাগের ক্রেতা মধ্যবিত্তরা। তাই নবায়ন ফিতে বৈষম্য না আনলে মধ্যবিত্ত আমাদের গাড়ি কিনবে না, আমাদের ব্যবসায়ীরা বাঁচবে না।”