শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিটুমিন উৎপাদনে এটিই বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি প্ল্যান্ট।
বিটুমিন জ্বালানি তেলের একটি বাই-প্রোডাক্ট পণ্য। এটি মূলত সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, দেশে বর্তমানে বিটুমিনের চাহিদা প্রায় পাঁচ লাখ টন, এর ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। বাকি ১০ শতাংশ বিটুমিন সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের বিটুমিন প্ল্যান্ট থেকে বছরে সাড়ে আট লাখ টন বিটুমিন ও পিচ উৎপাদন হবে।
স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি উচ্চমানের বিটুমিন বিদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে বলে জানানো হয়। দেশে চাহিদা বাড়লে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্টে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে প্রতি মাসে বিটুমিনের চাহিদা প্রায় ৪২ হাজার টন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হওয়ায় প্রতি বছর এর চাহিদা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। সড়কে ব্যবহারের জন্য পেনেট্রেশন গ্রেডের বিটুমিন উৎপাদন ছাড়াও বসুন্ধরার প্ল্যান্টে প্রিমিয়াম মানের পিচ উৎপাদনের সক্ষমতাও রয়েছে।
এই প্ল্যান্টে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাটব্যাক, ইম্যুলসিফাইড, অক্সিডাইজড ও পলিমার (এসবিএস, রাবার পাউডার) উৎপাদন ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।
সাধারণ পেনেট্রেশন গ্রেড (৬০-৭০/৮০-১০০) ও উন্নত গ্রেডের বিটুমিন চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।