এসব ক্ষেত্রে যেমন ব্যালেন্স জানতে বর্তমানে কোনো খরচ দিতে না হলেও আগামীতে লেনদেন, ব্যালেন্স চেকে ইউএসএসডি (আনস্ট্রাকচার্ড সাপ্লিমেন্টারি সার্ভিস ডাটা) চ্যানেল ব্যবহারে প্রতি ৯০ সেকেন্ডে একটি সেশন ধরে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ৮৫ পয়সা করে দেওয়ার এই নির্দেশনা জারি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
এমন সেশনে ন্যূনতম দুটি এসএমএস অন্তর্ভুক্ত।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যালেন্স দেখার জন্য প্রতি এসএমএসে ৪০ পয়সা দিতে হবে মোবাইল অপারেটরদের।
এমএফএস সেবার জন্য মোবাইল অপারেটর অবকাঠামো ব্যবহার করে থাকে এমএফএস অপারেটররা।
দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এমএফএস অপারেটরদের মোবাইল অপারেরদের এই চার্জ পরিশোধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির আরোপিত এই চার্জ গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হবে না বলে জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা।
অপারেটরদের ভাষ্যে, ৪০ পয়সার এ খরচ গ্রাহকের উপর চাপছে না; বিটিআরসির এ নির্দেশনা এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের জন্য, গ্রাহকের এখানে ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
“এই চার্জ মোবাইল অপারেটরকে প্রদান করবে সংশ্লিষ্ট এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, গ্রাহকদের ওপর এ চার্জ বর্তাবে না।”
তবে এ বিষয়ে এমএফএস অপারেটরদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে রবি জানিয়েছে, এমএফএস সেবার শুরু থেকেই এ চার্জগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল যা থেকে মোবাইল অপারেটররা বঞ্চিত ছিল এতদিন।
“অথচ এ খাতের বিকাশের মূল হাতিয়ার দেশজুড়ে বিস্তৃত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক। এই নির্দেশনাটির মাধ্যমে ব্যয়বহুল এই অবকাঠোমার গ্রহণযোগ্য একটি আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিত হয়েছে।”
আগে এমএফএস অপারেটরদের প্রতি এক হাজার টাকা লেনদেনে এক টাকা ৩০ পয়সা করে মোবাইল অপারেটরদের দিতে হত বলে জানিয়েছে মোবাইল কোম্পানিগুলো।
সেই চার্জ এখন সেশন-ভিত্তিক চার্জ করে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি।
এক্ষেত্রে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও এমএফএস অপারেটরদের আলাদা চুক্তির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া নিষ্পত্তির নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি।
তবে সেশন-ভিত্তিক চার্জ মোবাইল ফোন রিচার্জে প্রযোজ্য হবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
২০১২ সাল থেকে এমএফএস অপারেটররা তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দেশে এখন বিকাশ, রকেট, নগদের মতো এমএফএস সেবাদাত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের কাছে বহুল ব্যবহৃত।