বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরার আইএসডি স্কুলের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইতিবাচক ডিজিটাল শিক্ষা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বিষয়ক নানা পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়েরই জানাশোনা, সচেতনতা এবং সংবেদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রেড ৫ থেকে গ্রেড ১০ এর আড়াইশ শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণমূলক গেইমের মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বোঝানো হয়, যাতে তারা নিরাপদ ও অনলাইনে বিচরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে আমাদের শিশুরা খুবই অল্পবয়স থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং শিক্ষাবিষয়ক কন্টেন্টে তরুণদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গ্রুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
“তাই চাইলেই আমরা আমাদের সন্তানদের ইন্টারবনেট থেকে দূরে রাখতে পারি না। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকসহ এ ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রধান ও প্রথম ভাবনার বিষয় হওয়া উচিৎ নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা।”
ইউনিসেফের চিফ অব চাইল্ড প্রটেকশন জিন জেবি বলেন, “ক্রমবর্ধমান হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ার সাথে সাথে সাইবার বুলিংসহ বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে অনলাইনে সহিংসতাও বাড়ছে।”
“শিশুরা তাদের বাড়িতে, স্কুলে এবং নিজেদের কমিউনিটিতে যে সহিংসতার শিকার হয় তা ডিজিটাল বিশ্বেও চলে আসছে। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, আইন তৈরি করে ও হেল্পলাইন তৈরির মাধ্যমে বুলিং ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ করতে এবং বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং সাইবার বুলিংসহ অনলাইনে সহিংসতা বন্ধ করতে পারি। আর এ নিয়ে গ্রামীণফোনের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি প্রোগ্রাম’। ২০১৪ সাল থেকে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে এবং এ কর্মসূচির বিস্তৃতির মাধ্যমে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজার বাবা-মা ও অভিভাবকদের শিক্ষিত এবং এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ইউনিসেফের সাথে অংশীদারিত্ব করে।