বুধবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে জমির ইজারা চুক্তি করেছে বার্জার। বেজা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের কাছে জমি হস্তান্তরের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
ইজারা পাওয়া জমিতে আগামী ৫ বছরে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে বার্জার পেইন্ট। তাতে তিন থেকে চারশ লোকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. আব্দুল খালেক ও বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশীদ ইজারা চুক্তিতে সই করেন।
বার্জার পেইন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, বেজার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে জমি ইজারা চুক্তি করতে পেরে বার্জার পেইন্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। আবার বেজা কর্তৃপক্ষও ডিসেম্বরের মধ্যে জমি হস্তান্তরের প্রস্তুতির আশ্বাস দিয়েছে।
“এখন বার্জার কত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে আসতে পারবে সেই প্রতিশ্রুতি শোনার অপেক্ষা।”
রূপালী চৌধুরী বলেন, “নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে জমিই বড় সমস্যা। জমি কিনতে গেলে বিনিয়োগের অধিকাংশ বাজেট শেষ হয়ে যায়। বেজার কাছ থেকে এমন একটি জমি পেয়ে আমরা খুবই খুশি। বাকি পথ এগোতে সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।”
বার্জার পেইন্ট জানায়, বরাদ্দ পাওয়া জমিতে প্রশাসনিক ভবন, ওয়্যারহাউস, লজিস্টিকস এলাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি শোধনাগার, সড়ক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। বাকি জমিতে ডরমিটরি, স্বাস্থ্য সেবা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সবুজায়ন করা হবে।
প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি বার্জার ১৯৭০ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে তাদের কারখানা স্থাপন করে। ১৯৯৯ সালে ঢাকার সাভারে তাদের দ্বিতীয় কারখানা চালু হয়।
বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।