উদ্ভাবনী বিচারের ধারণায় এশিয়ায় সেরা ভারতের অনিকেত

সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কার্যকর সমাধান দিয়ে ‘ইনোভেটিং জাস্টিস চ্যালেঞ্জে এশিয়া অঞ্চলের সেরা হয়েছেন ভারতের অনিকেত দোয়েগার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2018, 04:50 PM
Updated : 6 Oct 2018, 04:50 PM

শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচি এবং নেদারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা হিলের যৌথ উদ্যোগে ‘ইনোভেটিং জাস্টিস চ্যালেঞ্জ’-এর এশিয়া অঞ্চলের চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন করা হয়।

প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছানোর উপায় বের করেছেন অনিকেত।

এ প্রতিযোগিতায় এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৩০ জনের উদ্ভাবনী ধারণা জমা পড়ে। তাদের মধ্য থেকে চার জন চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন। চূড়ান্ত পর্বের অন্য তিন প্রতিযোগীও তাদের ধারণা তুলে ধরেন।

ভারতের গৌতমী রাইকা নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগকে (স্টার্টআপ বিজনেস) আইনগত সহায়তা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের লিপি রহমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি বিষয়ক সমস্যা নিরসনের কথা বলেন। আর মায়ানমারের চো চান মেয়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রযুক্তি ব্যবহারের ভাবনার বর্ণনা দেন।

অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কানন অমল ধ্রু, আইনজীবী জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী এবং ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোজেক্টের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান।

বিজয়ী উদ্ভাবককে দেওয়া হবে হিলের জাস্টিস এক্সিলারেটরের সম্মান, একবছরের জন্য ৪টি ভাগে ২০ হাজার ইউরো আর্থিক অনুদান। প্রতি ভাগের অনুদানের পর কাজের ফলাফল পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে পরের অনুদান। এর পাশাপাশি হিল তাকে দেবে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং পাওয়ার অ্যান্ড পারটিসিপেশন সেন্টারের (পিপিআরসি) প্রতিষ্ঠাতা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “অতি দরিদ্রদের মাঝে ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছাতে হলে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ জরুরি। এই উদ্ভাবনী চিন্তায় কেউ বিজয়ী হওয়ার মানে এই নয় যে, বাকিরা ব্যর্থ হয়েছেন। সকলের উদ্ভাবনী আইডিয়াই মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাই নিজ নিজ কর্মোদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হবেন।”

হিল-এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট মারটাইন কাইন্ড এবং ন্যাথালি ডাইকম্যান, ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক সাজেদা ফারিসা কবির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।