বিজিবি সরার পর সচল হল বেনাপোল ও ভোমরা

বিজিবির নজরদারি বন্ধ করার পর বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবার শুরু করেছেন ব্যবসায়ী ও শুল্ক কর্মকর্তারা।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবেনাপোল ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2018, 11:06 AM
Updated : 17 July 2018, 11:08 AM

এদিকে নজরদারির প্রতিবাদে দীর্ঘ সময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরে তৈরি হয়েছে পণ্যজট।

বেনাপোল শুল্কভবনের ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ আহম্মেদ সায়েদ রুবেল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্দর ও কাস্টমের দুটি ওয়েভিং স্কেল ও কার্গো শাখার সামনে থেকে সোমবার রাতে বিজিবি তাদের নজরদারি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপর বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে।”

ভোমরা স্থলবন্দরেও মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে আবার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাগর সেন।

শনিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখা অফিস, বন্দর ও কাস্টম ওয়েভিং স্কেলের সামনে চেয়ার বসিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে নজরদারি শুরু করে বিজিবি।

এ বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা এই নজরদারি শুরু করেছে। বন্দর এলাকায় বিজিবি সদস্যদের টহল দিতেও দেখা যায়।

হঠাৎ করে বিজিবির বন্দরে এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদে বেনাপোলের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা বন্দরের সব কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে রোববার দুপুর থেকে বেনাপোল বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

এর প্রতি সংহতি জানিয়ে ভোমরা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

এই পরিস্থিতিতে বেনাপোলে রোববার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ভোমরা স্থলবন্দরে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, বিজিবি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পর মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদিন আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্য জটের সৃষ্টি হয়েছে।

“তবে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ায় বন্দর প্রাণ ফিরে পেয়েছে।"

ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু বলেন, “কাস্টমস অ্যাক্টের ৯ ধারা

অনুযায়ী বন্দর এলাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্যে কাস্টমস ছাড়া অন্য কোনো সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কিন্তু ২০১৫ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত বন্দর এলাকার চারটি স্থানে বিজিবি হস্তক্ষেপ করে আসছে।”

এর ফলে ব্যবসায়ীদের সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ‘নানা সমস্যার’ সৃষ্টি হয় বলে বিজিবির চেক পোস্ট সরানোর দাবি তোলা হয় বলে মন্তব্র করেন নওশাদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি-৩৩ ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ফজলে হোসেন বলেন, “ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চেকপোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”