ওয়ালটনের কম্পিউটার কারখানার যাত্রা শুরু

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল কম্পিউটার তৈরির কারখানার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2018, 11:53 AM
Updated : 18 Jan 2018, 02:06 PM

গাজীপুরের চন্দ্রার এ কারখানায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাদারবোর্ড তৈরি করবে ওয়ালটন। এছাড়া তৈরি করা হবে মনিটর। 

কম্পিউটার ও ল্যাপটপ তৈরির জন্য আপাতত বাকি যন্ত্রাংশ আমদানি করা হবে। এ কারখানায় শিগগিরই অন্যান্য যন্ত্রাংশ তৈরির কাজও শুরু হবে বলে ওয়ালটন গ্রুপের এজিএম অগাস্টিন সুজন জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে মাসে ৬০ হাজার ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ডেস্কটপ এবং ৩০ হাজার মনিটর তৈরির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে এই কারখানায়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার নবনির্মিত এ কারখানার উদ্বোধন করেন।

মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে বলেন, “স্বপ্ন দেখতাম পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটার উৎপাদন করবে বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন আজ বাস্তব হচ্ছে।”

ওয়ালটনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, দুঃসাহস ও আকাশের দিকে তাকানোর ক্ষমতা তাদের আছে। দেশে কম্পিউটার সংযোজন হলেও উৎপাদনের মাধ্যমে তারা এ সাহস দেখিয়েছে।

হাইটেক পার্কে যে সুবিধাগুলো দেওয়া হয় ওয়ালটনকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওয়ালটন এ বিষয়ে আবেদন করা মাত্র তাদের হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সার্ভিস রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিতে খুব দ্রুত এসআরও জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্ভবনাকে বাস্তবে পরিণত করেছে ওয়ালটন। দেশে বর্তমানে ৫ লাখ কম্পিউটার আমদানি করতে হয়। সরকারি ক্রয়ে দেশিয় পণ্য উৎসাহিত করা হবে।

২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পলক।

এর আগে হেলিকপ্টারে করে ওয়ালটন ডিজি-টেক কারখানায় পৌঁছলে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।

উদ্বোধন শেষে কারখানার বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের কম্পিউটার ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে জাপানি ও জার্মান প্রযুক্তি। গড়ে তোলা হয়েছে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ডিজাইন ডেভলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব।

ইন্টেলের সর্বশেষ প্রজন্মের প্রসেসর যুক্ত করে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ তৈরি হবে এই কারখানায়। এরইমধ্যে মাদারবোর্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশ এবং পেন ড্রাইভ, কিবোর্ড ও মাউস উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন।

এই কম্পিউটার কারখানায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।