ব্যবসা বাড়ানোর আলোচনায় বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীরা

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2018, 03:24 PM
Updated : 15 Jan 2018, 03:24 PM

সোমবার মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে বৈঠকে ওষুধ, অটোমোবাইল, রাবার, টায়ার-টিউব, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই শানডং প্রদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন করে।

চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বা সিসিপিআইটির শানডং প্রাদেশিক সাব কাউন্সিলের পরিচালক ঝোউ শিয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে বস্ত্র, রাবার, টায়ার, মাইক্রোফোন খাতের উদ্যোক্তারা ছিলেন।

এফবিসিসিআই পরিচালক এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ ইকনোমিক জোনস অথরিটি (বেজা) ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটির (বেপজা) প্রতিনিধিরা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে নতুন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শানডংয়ের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো খাত ও শিল্পাঞ্চলে চীনা ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্বের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।

বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যা, মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ও তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশাল জনসংখ্যা হওয়ার কারণে এদেশ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারও অনেক বড়। ফলে কেবল অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ও ভোক্তাচাহিদা বিশ্লেষণ করেও চীনা বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ পাবেন।

বেজার ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন নীতিগত ও আর্থিক ছাড় দিচ্ছে সরকার। দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কট থাকলেও এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবিচ্ছন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চিয়তা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা ১০ বছর ধরে সেখানে কর ছাড় পাবেন।  

চীনা প্রতিনিধি দলের নেতা ঝোউ শিয়া দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শানডং প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে টেক্সটাইল ও অন্যান্য খাতে অনেক বিনিয়োগ এসেছে বলেও তিনি জানান।

এফবিসিসিআইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৯৪৯ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রপ্তানি করে এবং চীন থেকে ১০১২৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে।