ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই আয়োজনে তুলে ধরা হবে অর্থনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনগুলো।
বুধবার রাজধানীর বাড্ডায় ফুজি ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ তলাবিহীন ঝুড়ি না, আমরা নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কর্মসূচির বিস্তারিত ঘোষণা করেন আরএফএলের এমডি আর এন পাল।
তিনি বলেন, “আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে সাতদিন ব্যাপী উন্মুক্ত প্রদর্শনীতে দেশের জাতীয় অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালে মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দেশটির দৈন্যদশা তুলে ধরতে গিয়ে একে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে গেছেন। তাই কর্মসূচির আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে এই দেশের ১৬ কোটি মানুষের আমন্ত্রণ কিসিঞ্জারের কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তিনি এই দেশে এসে আমাদের প্রবৃদ্ধি নিজ চোখে দেখে যেতে পারেন।”
কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঝুড়ির আদলে নির্মিত গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
পাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে এদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে উপহাস করে গিয়েছিলেন। মূলত তিনি এই দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করেই ওই কথা বলেছেন। কিন্তু আজ সেই দেশে ১৬ কোটি মানুষের হাজারও সাফল্য মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
এবারের বিজয় দিবসে কিসিঞ্জারের ওই উপহাসকে প্রসঙ্গ করে দেশের বড় সব অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে।
“আমরা দেখাতে চাই আমাদের তলা আছে। সেই তলাটা অন্যদের চেয়েও স্ট্রং। এই দেশের ৯০ শতাংশ ভূমি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ছোট্ট এই দেশে রয়েছে দুটি সমুদ্র বন্দর। বিজয় আমাদেরকে উজ্জীবিত করে, তাই বিজয়ের মাসে এমন আয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এই অর্জনগুলো কিসিঞ্জারকে দেখানোর জন্য তাকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। আগ্রহীরা ইনভাইটকিসিঞ্জারবিডি ডটকমে গিয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। ৯ ডিসেম্বর থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক চৌধুরী ফজলে আকবর, আরএফএল প্লাস্টিকের হেড অব মার্কেটিং এস এম আরাফাতুর রহমানসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।