শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি খোলা বাজার, শপিং মল আর সুপার শপ ঘুরে আগের দামেই জিনিসপত্র বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সুপার শপ ‘স্বপ্ন’র খিলগাঁওয়ের আউটলেটের বিক্রয়কর্মী মো. সোবাহান আলী জানান, রোজা শুরু হওয়ার দুই দিন আগে প্রকারভেদে চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন নতুন করে বাড়ানো বা কমানোর নির্দেশনা তারা পাননি।
“আমাদের এখনও বলা হয়নি দাম বাড়ানো বা কমানোর কথা। সব পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।”
‘স্বপ্ন’র মিরপুর শেওড়াপাড়া শাখায়ও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানকার কর্মী মামুন-উর রশীদও রোজার শুরুতে চাল, চিনি ও তেলের দাম বাড়ানোর কথা জানান।
“তবে গতকালের বাজেটের পর জিনিসপত্রের দামে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি।”
ওই এলাকার আরেক সুপারশপ ‘চায়না মার্ট’-এও আগের দামেই দ্রব্যাদি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজেটে প্রসাধন সামগ্রী, বিদেশি পোশাক, গুঁড়ো দুধ, মসলা ও মোবাইল ফোনে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাজেট পাশ হলে আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরে তা কার্যকর হবে বলে এখনই এসবের দাম বাড়াচ্ছেন না বিক্রেতারা।
বেইলি রোডের প্রসাধন সামগ্রীর দোকান ‘স্টার ডাস্ট’-এ আগের সপ্তাহের দামেই শ্যাম্পু, লুজ পাউডারসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতা সায়মা ইসলাম জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের আগে এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, বাজেটের কারণে আরও বাড়লে তো আর কেনাই হবে না।”
খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই বাজেট সম্পর্কে ধারণা রাখেন না।
মিরপুর ১০ নম্বরের ফল বিক্রেতা সালাহউদ্দীন বলেন, তার দোকানে ফলের দাম আগের মতোই আছে। সবাই বাড়ালে তিনিও বাড়াবেন।
“বাজেট কেমনে হয় আমি কইতে পারুম না, সরকার কোন জিনিসের দাম বাড়াইতে কইসে তাও জানি না। যদি দেখি সবাই বাড়াইতাছে, আমিও বাড়ায় দিমু।”
শান্তিনগর এলাকার মুদি দোকানদার সাত্তার মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাম তো সরবরাহকারীরা ঠিক করে। তারা বাড়াইলে বা কমাইলে আমরাও সেভাবেই বেচি। বাজেট কী তা তো জানি না।”
এসব জিনিসের দাম না বাড়লেও অনেক জায়গায় বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে সিগারেটের। যে সব সিগারেটের প্যাকেট ৪৫ টাকা বা তার বেশি সেগুলোর উপর শুল্ক না বাড়লেও খুচরায় গোল্ডলিফ ও বেনসনের দাম এক টাকা করে বেশি রাখা হচ্ছে পান্থপথের কয়েকটি দোকানে।
বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে রড ও বাথরুম ফিটিংসের সরবরাহ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মশিউর রহমান নামে উত্তর কাফরুলের এক বাসিন্দা।
অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি চাকুরে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পেনশনের টাকায় গাজীপুরে বাড়ি করছেন।