যখন আমরা খুব দ্রুত কাজ করতে যাই, তখন আমাদের ভুল ত্রুটি হয়ে যেতে পারে,” বললেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
Published : 14 Mar 2024, 05:26 PM
সবচেয়ে কমদামি খেজুর বোঝাতে গিয়ে ব্যবহার করা 'অতি সাধারণ/নিম্নমানের খেজুর' শব্দগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে 'সাধারণ মানের খেজুর' শব্দগুচ্ছ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব ভোক্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, “খেজুরের দাম নির্ধারণ করতে গিয়ে আমাদের বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। সোশাল মিডিয়ায় এটা নিয়ে ট্রল হচ্ছে। সাধারণ মানের খেজুরের পরিবর্তে শব্দটা একটু ইয়ে হয়ে গিয়েছিল। আমরা পরবর্তীতে কারেক্ট করে দিয়েছি। কিন্তু ওইটা আর হাইলাইটেড হয় নাই। এখন আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর -এই দুটো নাম ঠিক করে দিয়েছি।”
খেজুরের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়ে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে প্রতিকেজি সাধারণ মানের খেজুরের যৌক্তিক দাম ১৫০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা এবং জাইদি খেজুর প্রতিকেজি ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সাধারণ মানের খেজুর বোঝাতে গিয়ে ওই চিঠিতে 'অতি সাধারণ/নিম্নমানের খেজুর' লেখা হয়, যা নিয়ে সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "যখন আমরা খুব দ্রুত কাজ করতে যাই, তখন আমাদের ভুল ত্রুটি হয়ে যেতে পারে। আমরা পহেলা রমজানে নোটিসটা দিয়ে দিতে চেয়েছি। কারণ আমরা এক সপ্তাহ আগে তাদেরকে স্ব উদ্যোগী হয়ে দাম ঠিক করতে বলেছিলাম। তারা না করায় তাড়াহুড়া করে করতে গিয়ে আমাদের একটা ত্রুটি হয়ে গেছে। সেজন্য আমি আপনাদের কাছ থেকে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।"