তার যুক্তি, সার্কভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করলে মার্কিন অর্থনীতির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমে আসবে।
Published : 12 Jul 2024, 08:03 PM
সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করলে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
শুক্রবার চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু বে ভিউর মোহনা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ট্রেডিং ইন লোকাল কারেন্সিস: প্রবলেমস অ্যান্ড প্রসপেক্টস ফর সার্ক কান্ট্রিজ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, “সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রা বাণিজ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
“স্থানীয় মুদ্রা চালুর ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, নীতি উদ্ভাবন এবং কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে আরও স্থিতিস্থাপক এবং সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতির পথ প্রশস্ত করা সম্ভব। অতএব, সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করলে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলার দীর্ঘ সময় ধরে আধিপত্য বিরাজ করে আসছে। বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ লেনদেন এ মুদ্রার মাধ্যমে হয়ে আসছে, কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আলোকে এবং ভারসাম্যহীনতার ফলে অনেক দেশ একটি একক মুদ্রার উপর নির্ভরশীল না থেকে বিকল্প পথ খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করছে।
“সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করলে মার্কিন অর্থনীতির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমে আসবে। এতে সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে এবং বিনিময় ঝুঁকি ও লেনদেনের খরচ কমবে। নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য করলে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারি।”
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, স্থানীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। তার মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হল অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং সহযোগিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
“সেক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও রূপান্তরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে রির্জাভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চিফ জেনারেল ম্যানেজার আদিত্য গায়হা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর মো. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক সায়েরা ইউনুস সেমিনারে বক্তব্য দেন।