‘কালীগঞ্জ ইকোনমিক জোনে’ ফ্লাওয়ার মিলে হাতের স্পর্শ ছাড়াই আটা-ময়দা ও সুজি উৎপাদন করবে প্রাণ আরএফএল।
Published : 09 Nov 2024, 11:46 PM
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গড়ে তোলা প্রাণ-আরএফএলের নতুন শিল্পপার্কে আধুনিক প্রযুক্তির ফ্লাওয়ার মিলের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতার এ কারখানায় হাতের স্পর্শ ছাড়াই আটা-ময়দা ও সুজি উৎপাদন করবে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে মুক্তারপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ‘কালীগঞ্জ ইকোনমিক জোনে’ ২১ বিঘা জায়গা জুড়ে তৈরি করা ‘অটোমেটেড’ ফ্লাওয়ার মিলের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রাণ-আরএফএল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিল্পপার্কটিতে ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, লবণ, ডাল, স্টার্চ, পোল্ট্রি ফিড, মশলা, বেভারেজ, নুডলস, বিস্কুট, কনফেকশনারি ও ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭১৫ কোটি টাকার মত বিনিয়োগ হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে মোট ১৫০০ কোটি টাকা। শিল্পপার্কটিতে প্রায় ৯০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। পুরোদমে চালু হলে ৩ হাজার লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
শিল্পপার্ক ঘুরে দেখা যায়, দুই-তিনটি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়েকটি কারখানার যন্ত্রপাতি বসানো প্রায় শেষের দিকে। আবার কয়েকটি কারখানার নির্মাণ এখনও চলছে।
শনিবার শিল্প পার্কে নির্বাহী পরিচালক নাসের আহমেদ বলেন, “প্রাণের আটা-ময়দার সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য রাশিয়া, ইউক্রেনের পাশাপাশি কানাডা ও আমেরিকা থেকে গম আমদানি করছে। এসব অঞ্চলের গমে প্রোটিনের মাত্রা ভাল থাকে।
“তবে স্থানীয়ভাবেও লালমনিরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়সহ কয়েকটি জেলা থেকেও গম সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া প্রাণ নিজেরাই গমসহ অন্য ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উত্তরাঞ্চলে ৬০০ একর জমি লিজ নিয়েছে।”
তিনি বলেন, “গুণগতমান বজায় রাখতে কয়েকটি ধাপে কারখানায় আটা-ময়দা সুজি তৈরির পর প্যাকেটজাত করা হয়। গমের পুষ্টি পরিমাণের জন্য কারখানার অত্যাধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে গমের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রাণের উৎপাদিত ৫০ কেজি বস্তা নিজস্ব ডিলারের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রাণ এক কেজি ও দুই কেজির প্যাকেটেরও পরীক্ষামূলক প্যাকেজিং চালু করেছে। দেশের বাজারে দ্রুতই মিলবে প্রাণ ব্যান্ডের আটা-ময়দা ও সুজি।”
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, “আমরা ভোগ্যপণ্যের বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করতে চাই। এজন্য সিড ক্র্যাশিং, ভোজ্যতেল, লবণসহ বেশ কয়েকটি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কারখানায় কাজ চলমান রয়েছে।”