প্রাইমার্কের কাছে পোশাকের ন্যায্য মূল্য চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

“প্রাইমার্ক আমাদের বড় ক্রেত। বিশ্বখ্যাত এ পোশাক ব্র্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক ক্রয় করবে বলে বিশ্বাস করি,” বলেন মন্ত্রী। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2023, 01:44 PM
Updated : 25 Jan 2023, 01:44 PM

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে ‘আরও বেশি’ ন্যায্যমূল্য বিবেচনা করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পোশাক ব্র্যান্ড প্রাইমার্ককে অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে পোশাক তৈরির সক্ষমতা ও দক্ষতা আরও বেড়েছে জানিয়ে এ দেশে পোশাকের কার্যাদেশ বাড়ানোরও অনুরোধ করেছেন তিনি।

প্রাইমাকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল মার্চেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময় করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তমত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশ এখন চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণ পণ্য যথাসময়ে সরবরাহ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা রপ্তানি বাণিজ্যে বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ।

বিশ্বে যত পোশাক এখন রপ্তানি হয়, তার প্রায় সাত শতাংশের যোগান দেয় বাংলাদেশ। বিদেশি ক্রেতারা এই পোশাক কিনে রিটেইল শপে চড়া দামে বিক্রি করলেও বাংলাদেশকে নায্য মূল্য দিতে চায় বলে দীর্ঘদিনে ধরেই অভিযোগ করে আসছেন রপ্তানিকারকরা।  

বাংলাদেশের এক হাজার পোশাক কারখানার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের এবারডিন ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুলের একটি গবেষণার ভিত্তিতে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। সেখানে বলা হয়, বিশ্বের বড় বড় অনেক ব্র্যান্ড তাদের পোশাক তৈরির জন্য বাংলাদেশি কারখানাগুলোকে উৎপাদন খরচের চেয়েও কম টাকা দিয়েছে। বিভিন্ন কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও কারখানাগুলোকে মহামারীর আগের দামই দিয়েছে অনেক কোম্পানি।

প্রাইমার্কের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, “প্রাইমার্ক আমাদের বড় ক্রেত। বিশ্বখ্যাত এ পোশাক ব্র্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক ক্রয় করবে বলে বিশ্বাস করি। একই সাথে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে, শিল্পের সাথে জড়িত জনবলকে উৎসাহ দিতে তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করবে।”

প্রাইমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল মার্চেন্ট বলেন, “বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক সেক্টরে অনেক উন্নতি করেছে। গ্রিন কারখানায় কর্মীবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদন করছে। শিল্প ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বেশি আকর্ষণীয় করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমাদের কাছে খুবই প্রিয়।”

বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। প্রাইমার্ক প্রতিনিধি দলেও ছিলেন বেশ কয়েকজন।

সালমান এফ রহমান বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিশ্বমানের ও আধুনিক তৈরি পোশাক তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করতে সক্ষম।”