এর আগে কয়েক ধরনের ‘তাজা ও শুকনা’ ফল আমদানির উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
Published : 17 Mar 2025, 11:16 PM
আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ কয়েক ধরনের ‘তাজা ও শুকনা’ ফল আমদানির উৎসে কর কমানোর পর এবার সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে।
এসব ফল আমদানিতে ২৫ শতাংশের ওপর থাকা অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক তুলে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে এ শুল্ক ছাড় শুধু তাজা ফল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে সোমবার দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এসব ফলের তালিকায় রয়েছে ‘তাজা’ কমলালেবু, ‘লেবুজাতীয়’ ফল, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি।
এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব ফল আমদানিতে ২৫ শতাংশের ওপর থাকা অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অপর প্রজ্ঞাপনে তাজা ফল নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৩ মার্চ কয়েক ধরনের ‘তাজা ও শুকনা’ ফল আমদানির উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ায়। ওই তালিকায় এসব ফলও ছিল।
সে সময় ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও ৩শতাংশ থেকে একবারে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল। এরপর থেকেই চড়া বিদেশি ফলের বাজার।
এসব ফলের আরেক দফা দাম বাড়ে চলতি রমজান মাসের শুরুতে। কেজিতে ২৫ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হয় ক্রেতাদের।
রাজধানীর বাজারগুলোয় বর্তমানে প্রতিকেজি আপেল ৩২০ থেকে ৪২০, মাল্টা ২৮০ থেকে ৩০০, কমলা ৩০০ থেকে ৩৪০ এবং প্রতিকেজি আঙুর ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোটামুটি যত ধরনের শুল্ক–কর, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ছিল ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হত।