ইসলামী ব্যাংকের ওয়াকফ হিসাব কেন? তাতে কী সুবিধা

মানুষের মৃত্যুর পর তার অনূকূলে সাদাকাহ অব্যাহত রাখতে ক্যাশ ওয়াকফ হল একটি সহজ উপায়।

বিজ্ঞাপন বার্তা
Published : 21 March 2024, 09:28 AM
Updated : 21 March 2024, 09:28 AM

সমাজের বিত্তবানদের আর্ত-মানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ করতে ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে মুদারাবা ওয়াকফ ক্যাশ জমা হিসাব।

মানুষের মৃত্যুর পর তার অনূকূলে সাদাকাহ অব্যাহত রাখতে ক্যাশ ওয়াকফ হল একটি সহজ উপায়।

পরিবার পুনর্বাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা এবং নানাবিধ সামাজিক উপযোগিতামূলক সেবা খাতের উন্নয়নে ‘ক্যাশ ওয়াকফ’ হিসাব চালু করেছে ইসলামী ব্যাংক।

সমাজের স্বচ্ছল ও বিত্তবান ব্যক্তিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা, পারিবারিক স্মৃতি সংরক্ষণ, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিয়ে সামাজিক সঞ্চয় আহরণ, ধনীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন এবং সামাজিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে সামাজিক নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা মুদারাবা ক্যাশ ওয়াকফ হিসাবের অন্যতম মৌল লক্ষ্য।

এই হিসাবে ওয়াকফ করা অর্থ এককালীন জমা করা যায় অথবা ওয়াকফ ক্যাশের মোট পরিমাণ ঘোষণা করে প্রারম্ভিক অবস্থায় ন্যূনতম এক হাজার টাকা জমা করে পরবর্তী সময়ে বাকি অর্থ কিস্তিতে জমা করা যায়।

ওয়াকফ অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রাও জমা করা যায়। ঘোষিত ক্যাশ ওয়াকফের সমুদয় অর্থ ব্যাংকে জমা হওয়ার পর পুরো অর্থের জন্য একটি ক্যাশ ওয়াকফ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে ব্যাংক হিসাবধারীর পক্ষে ওয়াকফ-এর অর্থ তদারকি করে থাকে। ব্যাংক নির্ধারিত এক বা একাধিক খাতে অথবা হিসাবধারী তার পছন্দমাফিক অন্য কোনো শরীয়াহ সম্মত খাতে ওয়াকফ ক্যাশের মুনাফা ব্যয় করার জন্য ব্যাংককে নির্দেশনা দিতে পারেন। হিসাবধারী নিজেও ওয়াকফ তহবিল থেকে অর্জিত মুনাফা নিয়ে নির্দিষ্ট খাতে ব্যায় করতে পারেন।

এই হিসাবের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে তা থেকে অর্জিত মুনাফা অছিয়ত অনুযায়ী বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কাজে ব্যয় করা হয়।

ওয়াকফকৃত অর্থ থেকে অর্জিত মুনাফা ব্যয়ের খাতের মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবন-মানের উন্নয়ন, শারীরিকভাবে পঙ্গু, অক্ষম, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, ভিক্ষুক ও দুঃস্থ মহিলাদের পুনর্বাসন এবং বস্তির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামগ্রীক অবস্থার উন্নয়ন। এতিমদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপরকণ বিতরণ, বৃত্তি আকারে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান, দুর্গম ও অবহেলিত অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অর্থায়ন।

গ্রামীণ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, বিভিন্ন বস্তি, স্কুল, মসজিদ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ, গরিবদের জন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, নির্দিষ্ট রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য গবেষণায় অনুদান, দুঃস্থ মহিলাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনগত সহযোগিতা প্রদান, দরিদ্র মেয়েদের যৌতুকবিহীন বিবাহ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা প্রদান, গ্রামের রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জোরদার করা, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও উন্নয়ন, আয়-উৎপাদনকারী কর্মসূচির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কবরস্থান, ঈদগাহ প্রভৃতির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণেও অর্থায়ন করা যায়।

এছাড়া হিসাবধারীর পছন্দমত শরীয়াহসম্মত যে কোনো কল্যাণ ও সেবামূলক খাতে ওয়াকফ করা অর্থ ব্যয় করা যাবে।

২০০৪ সালে চালু ওয়াকফ ক্যাশ ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট সব মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ গ্রাহক ওয়াফ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।

যে কেউ ব্যাংকের যে কোনো শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেটে ওয়াকফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। মানবকল্যাণে সম্পদ ব্যয় এবং মৃত্যুর পরও তা থেকে সদকায়ে জারিয়ার সুবিধা লাভ করতে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা ওয়াকফ ক্যাশ জমা হিসাব হতে পারে ভালো উপায়।

ডিসক্লেইমার
এটি একটি বিজ্ঞাপনী বার্তা; সংবাদ প্রতিবেদন নয়। এর কোনো কনটেন্টের দায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নয়।