শিশুদের জন্য ‘হ্যা’ বলুন

রিয়েল আবদুল্লাহ আল মামুন
Published : 3 August 2018, 06:54 AM
Updated : 3 August 2018, 06:54 AM

শিশুরাই আগামী দিনে রাজনীতির হাল ধরবে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হবে। আর তাই কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে কোমল ব্যবহার করতে হয়। শিশুদের প্রতি সহনশীল হতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের প্রতি ছিলেন খুব নরম ও মায়াময়।

আপনি যদি কানাডা  আমেরিকার মতো ব্যস্ত সড়কের দেশগুলোর দিকে তাকান, দেখতে পাবেন শিশুদের কী পরিমাণ গুরুত্ব দেয়া হয়; নিরাপত্তা দেয়া হয়; চিন্তা করা হয় তাদের নিয়ে।

আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, কবি ও ছড়াকার আতাউল করিম ছবিসহ তার ফেসবুক ওয়ালে আমেরিকার এক বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আমেরিকার টরেন্টোতে তিনি ব্যস্ত রাস্তায় জ্যামে আটকে আছেন। আশেপাশের গাড়িগুলোও বন্ধ। কারণ একজন ক্ষুদে ভিআইপি গাড়ি থেকে নামবেন। সে ভিআইপি আর কেউ নয় একজন স্কুলগামী শিশু।

এর আগে ওবামা হিলারি ক্লিনটন, বিল ক্লিনটনও এভাবে আটকে ছিলেন। মন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট হয়েও শিশু আইনের কাছে ছিলেন তারা দায়বদ্ধ।

শিশুটি রাস্তার যেদিকে তার  বাড়ি সেদিকে নামলেও বিপরীত দিকের গাড়িগুলোরও অবশ্যই থামতে হবে। কারণ, কোমলমতি শিশুটি দৌড়ে বা অন্যপাশে চলে যেতে পারে; এটাই আইন।এই আইনের কাছে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাও নতি স্বীকার করেন।

যদি সেসব দেশের স্কুলগামী বাসের দিকে তাকান দেখতে পাবেন, বাসগুলো নিজেরাই ট্রাফিক সিগন্যাল। এদের বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। চারিদিকে স্টপ কথাটি লেখা থাকে। বাসগুলো যখন দাঁড়ায় তখন এই প্ল্যাকার্ডগুলো অটো বেরিয়ে আসে। গাড়ির চারিদিকে লালবাতি জ্বলতে থাকে। যাতে একটি শিশুর ক্ষতি অন্য কেউ না করতে পারে।

সেসব দেশে জীবনের মূল্য সময়ের চেয়ে বেশি। তাই প্রত্যেকে নিজ থেকে দায়িত্ব পালন করেন।

আমাদের দেশে শুধু আইনের প্রয়োগ নেই বলে অহরহ রাস্তাঘাটে শিশুমৃত্যু ঘটছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহার না হলে  এই সমস্যা থেকেই যাবে।

তাই শিশু-কিশোরদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে  'হ্যা' বলুন। জাতির ভবিষ্যতকে নিরাপদ রাখুন।