আইয়্যাম এ জাহেলিয়া যুগে মেয়ে শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত। মেয়ে শিশুরা তাদের কাছে কলঙ্ক বলে বিবেচিত হত। কিন্তু মানুষের ধ্যান-ধারনা, চিন্তা-চেতনার পরিবর্তনের কারনে ওই কুসংস্কারকে আমরা মাটিচাপা দিয়ে এসেছি বহুকাল আগেই।
আজ আমরা অত্যাধুনিক যুগে বসবাস করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে আধুনিকতা। জীবনযাপনের অন্যান্য কলা-কৌশল পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা পরিবর্তন করেছি আমাদের মানসিকতাকেও। এখন আর শিশুদের আমরা মাটিচাপা দিয়ে মারিনা। এখানেও পরিবর্তন এসেছে। রাজনদের মত শিশুদেরকে আমরা পিটিয়ে মারছি। জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া এখন সেকেলে হয়ে গেছে। তাই এখন মলদ্বারে বাতাস দিয়ে মারছি।
শিশু সুরক্ষার জন্য কত আইন, কত নীতিমালা, কিন্তু রক্ষা হচ্ছেনা কিছুতেই। মাত্র কয়েকদিন আগে ঘটে গেল আরো এক লোমহর্ষক ঘটনা। কুড়িগ্রাম হাসপাতালের এক নার্স তার ছেলেকে দিয়ে ছেলের বন্ধুকে বাসায় ডেকে এনে গলায় মাপলার পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। এরপর তার কিডনি বের করে নেয় বিক্রির জন্য। তারপর মৃতদেহকে বাড়ির ছাদের পানির ট্যাংকে ফেলে দেয়। এই ট্যাংকটি পরিকল্পিতভাবে তৈরি করেছে বলে জানা যায়। এই যদি হয় ডাক্তর, নার্সদের অবস্থা তাহলে আমাদের ভরসা কোথায়? কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে মানবতা? কোথায় আছে মনুষ্যত্ববোধ?
নচিকেতা ঠিকই গেয়েছিলেন-
"ডাক্তার মানে সেতো মানুষ নয়,
আমাদের চোখে সেতো ভগবান।
কসাই আর ডাক্তার এক-ই তো নয়,
কিন্তু দুটোই আজ প্রোফেশন।"
এই গানকেও হার মানিয়েছে আজকের নার্স'রা। তাই মানবতাকে আজ খুঁজছি-"মানবতা তুমি কোথায়?"