আমাদের দেশে নারীরাই নারীনির্যাতন আইনের অপব্যবহার করেন। সংবিধানে আছে আইনের চোখে সবাই সমান। বাংলাদেশ এভিডেন্স এক্ট ১৮৭২ -এর ধারা অনুযায়ী এক বেক্তি অন্য এক বেক্তিকে দোষি করে বিচার চাইলে বাদিকে প্রমান করতে হবে যে বিবাদি দোষি। এ ধারায় বলা হয়েছে শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করা যাবে না। আইনের চোখে বাদি বিবাদি সবাই সমান। থানায় নারী নির্যাতন কেস করলে যৌতুক চাওয়া হয়েছে বলে বাদিকে প্রমান করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় প্রমাণ করার আগেই পত্রিকা ও টিভিতে বিবাদীর নাম খারাপ প্রচারনার করে মামালার মর্মতাকে ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং তখন এ ধরনের মামলার বিচার পাবলিক সেন্টিমেন্টের মাধমে করা হয়। একজন পুরুষ খারাপ দেখে সকল পুরুষ খারাপ এবং আইন করে সকল পুরুষ নাগরিকের নাগরিক অধিকার হনন করা কী সংবিধান পরিপন্থী নয়। একে হিটলার পন্থী বলা হয়। আমরা সবাই জানি সাংসারিক ঝগড়া শুধুই ছেলের কারনে হয় না। স্ত্রী পুরুষ দুজনে মিলেই ঝগড়া করেন। কিন্তু থানায় কমপ্লেন করলে শুধুই পুরুষকে দোষি করা হয়। এধরনের মামলায় স্ত্রীর কোন প্রমানও দেওয়ার প্রয়োজন থাকে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। তাছাড়া এত বেশি ফলস মামলা হচ্ছে বাদীর জামিন পেতে বিলম্ব হয়ে থাকে।
নারীবাদীরা বলবেন নারীরা নানান ভাবে নির্যাতনের শিকার। টিভিতে এসব বিষয়ে নাটক সিনেমা তৈরী করে কিন্তু পুরুষদের নিয়ে কোন অনুষ্ঠান দেখা যায় না। দেশের বহুল প্রচলিত পত্রিকা প্রথম আলো খুললেই দেখা যায় নারীদের নিয়ে পৃথক কলাম। এছাড়াও নারী নির্যাতন নিয়ে নানান কথাও শুনা যায়। কিন্তু পুরুষের দুঃখ বেদনা নিয়ে কেউ লেখা লেখি করেন না। পুরুষদের কি কোনই অনুভূতি নেই। এটা মিডিয়াতে লিঙ্গ বৈষম্যতা। সমাজের পুরুষদের দুঃখ, ভালবাসা এবং দুর্দশার কথা বললে হয়তো এ ধরনের একতরফা আইন হতো না। এ ধরনের কলম করলে কিছু সাংবাদিক এই কলামে লিখার জন্য নতুন কর্ম সংস্থান পাবে এবং নারী ও শিশুদের পাশে পুরুষদের কথাও উঠে আসবে।
সেদিন ই-তথ্যকোষ থেকে জানলাম ঢাকা সিটিতে নারীর দ্বারাই পনের হাজার তালাক দেওয়া হয়। তারপরেও নারীবাদী এবং মিডিয়া বলে বেড়ায় তালাক নাকি নারীর অপমান সরুপ। পুরুষের দ্বারা তালাক হয়েছে পাচ হাজার। এর মধ্যে বারোশ বিবাহ মিমাংসার করে বজায় রাখা হয়েছে । দেশে নাকি তালাকের আইন নারিকে সাপোর্ট করে না। তাতেই পনের হাজার নারী তালাক নিলেন। নারীরা নাকি সংসার চান তাহলে নারীরা এতবেশি তালাক কেন দিলেন। নারীবাদীরা বলবেন নারীরাই নির্যাতনের শিকার কিন্তু প্রমান কি। পত্রিকায় এক ঘটনাকে বারবার লিখা এবং মিডিয়াতে এক ঘটনা বারবার দেখানোর মাধ্যমে আমাদের সমাজের মানুষের মগজ দলাই করে রাখা হচ্ছে | সেদিন বাংলা ভিশনে 'আমি এখন কি করবো' অনষ্ঠানে এক পুরুষকে কল করে বলতে শুনলাম উনার স্ত্রী পরকিয়া করে সন্তান ফেলে পরপুরুষের সাথে পালিয়ে গেছেন। সাথে সাথে অনুষ্ঠানের সাইকোলজিস্ট কো-হোস্ট বললেন সবকিছুর পরেও উনি কিন্তু সন্তানের মা কিন্তু সেই নারীকে ধিক্কার দিলেন না। কো-হোস্ট কী করে নারীর অন্যায্যের সাপোর্ট নিলেন এবং মহিলাটি খারাপ করেছেন বলে উনাকে দোষীও করলেন না। এর মাধমে কি নারীর পরকিয়াকে উনারা টিভিতে অনুপ্রাণিত করলেন? নিচের খবরটি পড়ুন
( নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে স্বামীকে পাচ বছর জেল ও হয়রানি।)
দেশে নানান ধরনের ঘটনা ঘটে তাদের মধ্যে নারী দ্বারা অনেক ক্রাইম হয় যা টিভিতে প্রচার করা হয় না। নারীরা সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে উনাদের অবশ্যই সব ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার ক্ষেত্রেও সমঅধিকার থাকা উচিত। ইউএন এবং মানবাধিকার সংস্থাও তাদের সংবিধানেও সমান অধিকারের কথা স্বীকার করেন।
সাংসারিক ঝগড়া হলেই নারীনির্যাতনের মামলার ভয় দেখানো বাঙ্গালি মেয়েদের একটি অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। দেশে অনেক নারীনির্যাতনের ঘটনা শুনি কিন্তু ফলস মামলার কথা কেউ প্রচার করেন না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আঞ্চলিক পত্রিকায় ফলস নারী নির্যাতন মামালার খবর শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেশের বহুল প্রচলিত পত্রিকাগুলোতে এর কোন খবর ছাপা হয় না।
দেখুন সাহেদা আক্তারের কাণ্ড।ফলস মামলা দিয়ে স্বামীকে বিপাকে ফেলে নিজে পাচ বছর অতিক্রম করেছে রঙ্গরসে। আর অসহায় স্বামীটি পাঁচ বছর কষ্ট করলো। পত্রপত্রিকায় এ স্বামীকে দোষী করে নানান ধরনের লেখা লেখি হয়েছিল। কিন্তু আসল ঘটনা বেরিয়ে আসলো। সবাই কিন্তু আবুল হোসেনের ম লাকি নন। এমন অনেক স্বামি আছেন যারা নিরবে জেলে বসে সব নির্যাতন সইছেন।