অনেক কিছু ‘সরালেই’ হবে ‘স্বস্তির’ এক ঢাকা

“নির্বাচিত হওয়ার প্রথম দিন থেকে আমি বলছি, কোনো কিছুই সমস্যা নয়, সেগুলো সব চ্যালেঞ্জ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি,” বলেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মাসুম বিল্লাহসৌমিক হাসিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2023, 07:31 PM
Updated : 19 Nov 2023, 07:31 PM

নগরীতে ডেঙ্গু, জলাবদ্ধতা ও যানজটের মতো ক্রমবর্ধমান সমস্যা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে সংকট নয়, চ্যালেঞ্জ; যাতে জয়ী হতে তার কাছে মুখ্য হল ‘জনসেবা ও স্বচ্ছতা’।

দিনের পর দিন এসব ভোগান্তি নিয়ে দিন পার করা নগরবাসীর নাগরিক সেবার চাহিদা পূরণের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছেন তিনি।

রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিয়মিত আয়োজন ইনসাইড আউট আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি কোনো কিছুকে সমস্যা বলছি না।”

আলোচনায় মেয়র নগরীর সমস্যা-সংকট ও সমাধানের বিভিন্ন দিক এবং নাগরিকদের দায়িত্ব নিয়েও কথা বলেন। ঘনবসতিপূর্ণ এ মহানগরে প্রকোপ আকার ধারণ করা ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কেও সচেতন করেন তিনি। 

তার মতে, চলমান বেশ কিছু অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করা গেলে এবং অনেক কিছু ‘সরানো’ গেলেই নগরবাসীর জন্য স্বস্তির এক ঢাকা গড়ে তোলা যাবে। দরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে নতুন ও পুরনো পদক্ষেপের সমন্বয়।

রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয় ইনসাইড আউটের এ সর্বশেষ পর্ব।

নগরীর পুরনো ক্ষত যানজট সারাতে বাস ও ট্রাক স্ট্যান্ডগুলো সরানো, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার স্থানান্তর, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজি কার্যকরভাবে চালুর মতো চলমান পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন তিনি।

নগরীর মধ্যে সুউচ্চ আধুনিক ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম উঠে আসে ইনসাইড আউট এর এ আলোচনায়।

দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালে পূর্ণ মেয়াদে নির্বাচিত ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিক বলেন, “যেহেতু নগরবাসী আমাকে ভোট দিয়েছে, যা কিছু হোক না কেন, আমি আমার টিম ও কাউন্সিলররা, আমার কর্মকর্তাদের বলেছি- আসুন আমাদের নিজেদের উপকারের জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য একসঙ্গে কাজ করি।”

নগরীর নানা রকম সমস্যা সমাধানে ‘জনসেবা ও স্বচ্ছতাকে’ প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচিত হওয়ার প্রথম দিন থেকে আমি বলছি, কোনো কিছুই সমস্যা নয়, সেগুলো সব চ্যালেঞ্জ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। প্রথম হচ্ছে জনসেবা, দ্বিতীয়টা হচ্ছে স্বচ্ছতা। জনসেবার জন্য আমি প্রথমে সবার ঢাকা অ্যাপ চালু করেছি।”

এর মাধ্যমে নগরবাসীরা বিভিন্ন সমস্যা নজরে আনছেন- ফলে সেগুলোর সমাধান খুব সহজে করতে পারার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আট ধরনের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ডেটা রয়েছে সেখানে, মানুষ সেটা দিতে পারছে।

“সমস্যার সমাধান না হলে যারা এগুলো সমাধানের দায়িত্বে রয়েছে, তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে পারছি আমি। এটাকে আমি বলছি স্বচ্ছতা।”

আমলাদের ‘কাজের ধরন ও ধীরগতি’ কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে নাম লেখানো ঢাকা উত্তরের এই মেয়র বলেন, “অবশ্য আমলারাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ…সেক্ষেত্রে ফাইল সচল করা আরেকটি চ্যালেঞ্জ।”

খাল উদ্ধারের চেষ্টা

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধারের প্রচেষ্টার কথা আলোচনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমি নগরে সর্বেসর্বা নই। কিন্তু নগরবাসীর ধারণা হচ্ছে, সবকিছু সিটি করপোরেশনের।

“বাস্তবতা হচ্ছে সব কিছু সিটি করপোরেশনের অধীনে নয়। আমাদের অধীনে কিছু আছে, তা আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।”

প্রথমবার ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে এক বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরের বছর পুনরায় পূর্ণ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন।

এর আগে ঢাকার খালগুলো দেখভালের দায়িত্ব ওয়াসার অধীনে থাকলেও দ্বিতীয় দফায় জয়ী হওয়ার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সেগুলো সিটি করপোরেশনের অধীনে আসার কথা তুলে ধরেন মেয়র আতিক।

এরপর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পানি আটকে পড়ে এমন দুই শতাধিক প্রধান জায়গা চিহ্নিত করার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, পানি আটকেপড়ার সমাধান করতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। খালগুলো মানচিত্রে থাকলেও বাস্তবে নাই।

“দেখা গেছে, খাল হওয়ার কথা ছিল হয়ত ১০০ ফুট চওড়া, কিন্তু দখলের কারণে সেটা মাত্র ২০ ফুট চওড়া। ৬০ ফুটের খাল মাত্র ৬ ফুট এখন। যখন তারা দখল করছিল- তখন আমরা প্রতিবাদ করিনি, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিইনি, সে কারণে বর্তমানে আমরা বড় সমস্যার মুখোমুখি।”

অবৈধ স্থাপনা সরানোর বিষয়ে দৃঢ় থাকার কথা তুলে ধরে মেয়র আতিক বলেন, সিএস ম্যাপ ও শহরের ম্যাপে খালগুলোর প্রস্থ দুই ধরনের। সিএস দাগে বড় হলেও শহরের ম্যাপে ছোট।’

“সুতরাং আমরা যদি শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে সিএস ম্যাপ ধরে এগোতে হবে। সিএস ম্যাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

নগরবাসীর সহায়তা ছাড়া মশা নিধন ‘অসম্ভব’

মানুষের বাসাবাড়ি ও আঙিনার পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তারের কারণে নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ডেঙ্গু বিস্তারকারী এইডিস মশার নিধন ‘অসম্ভব’ বলে মনে করছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না আমরা আমাদের কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে না পারব, মশা নির্মূল করা অসম্ভব। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”

স্বচ্ছ পানিতে এইডিস মশার ডিম ছাড়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ফ্রিজের ট্রে, ফেলে রাখা অব্যবহৃত টায়ারে, বাড়িঘর নির্মাণ ও সংস্কারের সময় জমাট পানি, রঙের পাত্র, বাড়ির ছাদে আটকেপড়া স্বচ্ছ পানিতে লার্ভা হতে পারে।

মোহাম্মদপুরের রোজ গার্ডেনে ২৭টি ভবনের ২৭টিতেই কার পার্কিংয়ে স্বচ্ছ পানি জমা হওয়া এবং সেখানে লার্ভা দেখতে পাওয়ার কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

আতিক বলেন, “আমরা মনে করি, সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এইডিস মশা নির্মূল করতে হলে আমাদেরকে একীভূত সমাধান দরকার।

“একীভূত সমাধান কী? এটা আমার অফিস, আমার ভবন, আমার বাড়ি, আমাকে পরিষ্কার করতে হবে, এটা আমার হাসপাতাল, আমাকে পরিষ্কার করতে হবে। সিটি করপোরেশন আপনার ভবন, আপনার বাসা অথবা আপনার ছাদে দেখতে যেতে পারবে না। এটা পুরোপুরি অসম্ভব।”

মশক নিধনের জন্য বিটিআইয়ের মতো ‘অর্গানিক’ কীটনাশকের উপর জোর দিলেও কেনার ক্ষেত্রে যে বিতর্ক তৈরি হয়, সেটা মেটানোর কথা তুলে ধরেন মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, “আমরা বিটিআই আমদানি করছি, সেখানে কিছুটা অনিয়ম ছিল। যারা ভুল করেছিল, তারা এখন জেলে আছে।

“সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের আমি বলেছি, বিটিআই উৎপাদনকারীদের থেকে আমরা সরাসরি কিনব। এ ধরনের সংবেদনশীল ইস্যুতে কোনো ঠিকাদারের মাধ্যমে আমরা যাব না। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সরাসরি বিটিআই নিতে আসতে পারব।”

বিভিন্ন দেশে বিটিআই সহজলভ্য হওয়ার ফলে মানুষ দোকান থেকে কিনে সহজে বাড়ির আঙিনার বিভিন্ন স্থানে প্রয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন উত্তর সিটির এই মেয়র।

 

কতুটুকু এগোল ঢাকা নগর পরিবহন

শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য ঢাকা নগর পরিবহনকে বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে বলে জানান এজন্য গঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটিতে থাকা মেয়র আতিক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে এক্ষেত্রে কাজ চলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের নিজস্ব গণপরিবহন ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি নতুন বাস নিয়ে আসার। আবার অন্য কোম্পানিগুলো একই রুটে বাস চালাতে চায়। সুতরাং এখানে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”

তিনি বলেন, “নগরবাসীকে কীভাবে স্বস্তি দেওয়া যেতে পারে, বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন তার একমাত্র সমাধান। এর কাজ চলছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমরা বলেছি এটা করব না।

“বর্তমানে ৩-৪টা রুটে এটা চলছে। গুলশানের গুলশান চাকা ও ঢাকা চাকা ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যা কিছু হোক না কেন, আমাদেরকে একটা ভালো সমাধান বের করতে হবে।”

স্বস্তিতে চলাচলে মানুষের মেট্রোরেল যাত্রা বেশি উপভোগ করার কথা তুলে আতিকুল ইসলাম বলেন, “বাস মালিকদের জন্য এটা একটা বার্তা যে, তাদেরকে বাস পরিবর্তন করতে হবে। তাদেরকে মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে, পুরো ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে।

“বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে আমাদেরকে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে আমরা কোনোভাবে স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে যেতে পারব না।”

‘নগরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থাকতে পারে না’

যানজটের টেকসই সমাধানের জন্য তেজগাঁওয়ে সড়কের ‍উপরের ট্রাক স্ট্যান্ড, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার নগরীর বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, “আমরা যদি কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার, মহাখালী ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ডকে সরাতে পারি, তাহলে ট্রাফিক কমে আসবে। এটা করতেই হবে, এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই।”

তেজগাঁওয়ে সড়কের উপর ট্রাক পার্কিং সরাতে বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরে প্রায় পাঁচ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্বে থাকা আতিক বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে গেলে রাস্তা ফাঁকা পাওয়া যায়। তবে সন্ধ্যায় আবার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

“তাহলে ট্রাকগুলো কোথায় যায়? ট্রাকগুলো তো হাওয়া হয়ে যায় না। সুতরাং আমাদের একটা টেকসই সমাধান দরকার। সেই টেকসই সমাধান কি? আমাদের যথাযথ ট্রাক স্টান্ড দরকার।”

সড়কের উপর থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড সরানোর জন্য তেজগাঁওয়ে পাঁচ একর জায়গার উপর আধুনিক ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, তেজগাঁওয়ে বিটিআরসির অধীনে থাকা সাড়ে তিন একর এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনের দেড় একর জায়গার দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালি করলেও সাড়া পায়নি সিটি করপোরেশন। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সেটির সমাধান হওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, “অবশ্য, শহরের মধ্যে সাড়ে তিন একর জমি কে দেবে আপনাকে? আপনি কি আমাকে আপনার দেড় একর জমি দেবেন?

“এ কারণে বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলেছি যে, এই হলো পরিস্থিতি? টেকসই সমাধান চাইলে তাদেরকে একটা জায়গা দিতে হবে আমাদের। আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সারাংশ অনুমোদন দিয়েছেন। এজন্য আমরা তেজগাঁওয়ে ৫ একর জায়গায় ট্রাক স্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা করছি। এটাই হচ্ছে সমাধান।”

মেয়র আতিক বলেন, “আজকে আমি বলতে পারি, ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য পাঁচ একর জায়গা রয়েছে। তাহলে সেটাকে আমরা কীভাবে ব্যবস্থাপনা করব, ট্রাক কীভাবে উপরের দিকে যেতে পারে, যখন প্রয়োজন হবে নিচে নেমে আসতে পারে।

“একটি আধুনিক ট্রাক স্ট্যান্ড আমি চালু করতে যাচ্ছি। এটা প্রস্তুত হবে। প্রয়োজনীয় কাজ আমরা করার চেষ্টা করছি।”

মহাখালী আন্তঃবাস টার্মিনালকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে এবং গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালকে হেমায়েতপুরে সরানোর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আন্তঃজেলা বাস শহরে আসতে পারে না, শহরে চলবে অন্তঃশহর বাস।

“আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, আপনি জানেন মেট্রোরেল ৬ শুরু উত্তরার দিয়াবাড়িতে। এরপর আমরা একটা জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছি, সেখানে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হবে।”

তিনি বলেন, “মহাখালী হবে শুধু সিটি টার্মিনাল। সুতরাং মেট্রোরেল যেখানে আন্তঃজেলা বাস সেখানে আসবে, তারপর মেট্রোরেলে চড়ে তারা শহরের দিকে চলবে। এবং কাজ শেষ করে যদি একই দিনে ফিরতে চায়, তাহলে একইভাবে তারা বাসের দিকে ফিরতে পারবে।

“এমন সমন্বয়ের বিষয় কখনও চিন্তা করা হয়নি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাচ্ছি, তিনি আমাদেরকে মেট্রোরেল দিয়েছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সমন্বয় হবে এবং ট্রাফিকও কমিয়ে আনবে।”

তিনি বলেন, “গাবতলী বাস স্ট্যান্ড শুধু শহরের জন্য। হেমায়েতপুরে নতুন বাস স্ট্যান্ড করার চেষ্টা আমরা করছি। যেখান থেকে মেট্রোরেল-৫ চালু হবে, সেখানেই হবে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল।

“সুতরাং পুরো শহরে বাসস্ট্যান্ডকে রেললাইনের সঙ্গে সমন্বয় করার কাজ করছি। একই রকম ধারণা নিয়ে আমরা করছি।”

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারকে সরাতে কাজ করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পাইকারি বাজার শহরের মধ্যে হতে পারে না, এটাকে সরাতে হবে।

“আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, কারওয়ান বাজারকে স্থানান্তর করতে হবে। আমরা এটাকে গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে সরানোর কাজ করছি।”