সৌদি গিয়ে ‘নির্যাতনের’ শিকার ১২ নারী দেশে ফিরলেন

ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামীর অভিযোগের পর গোয়েন্দারা তদন্তে নামলে তাদের ফিরিয়ে আনে রিক্রুটিং এজেন্সি বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর এপিবিএন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2023, 06:05 PM
Updated : 3 June 2023, 06:05 PM

কাজের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে ‘নির্যাতনের’ শিকার হয়ে ১২ জন ভুক্তভোগী নারীর ফেরত আসার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার বিকালে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন বিমানবন্দর এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর চাপ তৈরির মাধ্যমে ওই ১২ জনকে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ওই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, দেশে ফিরে আসা নারীদের থেকে এপিবিএনের তদন্ত দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেল এজেন্সিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিয়াউল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এপিবিএন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। ভুক্তভোগী নারী কোথায় কী অবস্থায় আছে সে বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়। অভিযোগটিকে গুরুত্ব দিয়ে এপিবিএন কাজ করছে বুঝতে পেরে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি অফিস বন্ধ করে দেয়, গা ঢাকা দেন কর্মীরা।

এরপর ভুক্তভোগী নারীদের দেশে ফিরিয়ে আনলে আইনগত জটিলতা থেকে হয়ত মুক্তি মিলতে পারে এমন আশায় এজেন্সির লোকজন তাদের ফেরত এনেছে বলে মনে করছেন এপিবিএনের এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

শনিবার দেশে ফেরার পর অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির স্ত্রীসহ আরও ১১ জনকে বিমাবন্দরে গ্রহণ করেন এপিবিএন কর্মকর্তারা। এসময় ব্রাকের মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগটির বিষয়ে জিয়াউল জানান, মে মাসে একজন ভুক্তভোগীর স্বামী বিমানবন্দর এপিবিএনের কাছে অভিযোগ জানান তার স্ত্রী ছয় মাস আগে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজ করতে সৌদী আরব যান। তবে যাওয়ার পর থেকে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শারীরিক ও মানসিকভাবে তার স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে লোকমুখে জানতে পেরে এপিবিএনের সহযোগিতা চান। একই সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপর বিমানবন্দর পিবিএনের গোয়েন্দা দল এ নিয়ে কাজ শুরু করে।