ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদকে জানাতে হবে: আইনজীবী সুমনকে হাই কোর্ট

দুদক কোনো ব্যবস্থা নিল কি না, আগামী ২১ অগাস্ট তা হাই কোর্টকে জানাতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 09:28 AM
Updated : 10 August 2022, 09:28 AM

ঢাকার রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে দুদকে আবেদন করতে বলেছে হাই কোর্ট।

সুমনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ নির্দেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী সুমন নিজেই শুনানি করেন, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ওসি মনিরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন মাহবুব শফিক।

ওসি মনিরুল ইসলামের ‘বিপুল পরিমাণ সম্পদের’ খবর নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের যুক্ত করে এই রিট করেন আইনজীবী সুমন।

শুনানির পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটা দুদকের জন্য ফিট কেইস, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যদি… ২২ হাজার টাকার স্কেলে চাকরি করে ওনার যদি এত সম্পদ থাকে, তাহলে বাংলাদেশের সকল সৎ অফিসাররা ফ্রাস্টেইটেড হবে, এটা ছিল আমার সাবমিশন। আদালত আমার এই সাবমিশনটি নিয়েছে। নিয়ে বলেছে- ‘আমরা আপনার সাথে একমত’।

“আদালত বলেছেন যে- ‘এভাবে চলে না, এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।’ আদালত প্রসিডিউটর ফলো করতে চায়। আদালত এ বিষয়ে আমাকে দুদকে একটি আবেদন দিতে বলেছে। এরপর দুদক যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় বা না নেয়- যাই হোক না কেন, তখন একটি সাপলিমেন্টারি আবেদনসহ আগামী ২১ অগাস্ট আদালতে যেতে বলেছে।”

ওসি মনিরুলের ‘অবৈধ সম্পদ ও দখল’ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার সকালে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন আইনজীবী সুমন। সেখানে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সেই সঙ্গে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার অবহেলা’ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- জানতে রুল চাওয়া হয় রিটে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আিইজিপি), দুদকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার ও ওসি মনিরুলকে সেখানে বিবাদী করা হয়।

গত ৫ অগাস্ট প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পুলিশ কর্মকর্তার নামে রাজধানীর বছিলায় আটতলা বাড়ি, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক প্লট রয়েছে।

ওসির বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার ‘বাড়ি দখলের’ অভিযোগ থাকার কথাও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।