এর মধ্যে ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় প্রথম স্তরে তেল পাওয়া গেছে। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়া সম্ভব বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
Published : 10 Dec 2023, 01:37 PM
সিলেটের একটি গ্যাসকূপ থেকে তেল পাওয়ার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেট ১০ নম্বর কূপে মোট চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় প্রথম স্তরে তেল পাওয়া গেছে।
এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়া সম্ভব বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, “সিলেট-১০ নম্বর কূপের ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে। কূপের চাটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরের ২৫৪০-২৫৫০ মিটারে টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়, এখানে ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
“২৪৬০-২৪৭৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।“
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২২৯০-২৩১০ মিটার গভীরতায়ও গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি জোন পাওয়া যায়, যেখানে ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষায় তেলের উপস্থিতি জানা যায়, প্রাথমিকভাবে যার এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি।“
‘সেলফ প্রেসারে‘ প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে।“
তিনি বলেন, ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতা থেকে একযোগে প্রায় ৮-১০ বছর তেল-গ্যাস উৎপাদন করা যাবে, যার গড় ভারিত মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা।
“যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে,“ বলেন প্রতিমন্ত্রী।