প্রতিমন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে মজুরি পুননির্ধারণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে।
Published : 01 Nov 2023, 07:00 PM
তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি পুননির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বেতন বাড়ানোর দাবিতে কয়েকদিন ধরে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যেই জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানালেন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০১৮ সালে ৫৩০০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৮০০০ টাকা করা হয়েছে। যথাসময়ে মজুরি পুননির্ধারণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে।
প্রবাসে গেছে ১১ লাখ ৬৬ হাজার নারী কর্মী
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বির বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত পাঠানো নারী কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৬ জন।
তিনি জানান, নারী কর্মীর চাহিদা বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, মরিশাস, লেবানন ও বাহারাইন অন্যতম। নারী শ্রমিকরা যেন কোনো বৈষম্যের শিকার না হয় সেজন্য সর্বদা সরকারের নজরদারি ও উদ্যোগ অব্যাহত আছে। নারী কর্মীদের সুরক্ষায় সৌদি আরব, জর্ডান, ওমান ও লেবাননে মোট ৬টি সেইফ জোন আছে।
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৭ জন কর্মীর প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিগত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কর্মসংস্থান হয় ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮২৫ জনের।
রোহিঙ্গাদের পেছনে সরকারের ব্যয় ৯৩৭৭ কোটি টাকা
মোরশেদ আলমের প্রশ্নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ যাচাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭১৯ জন এবং নোয়াখারীর হাতিয়ার ভাসান চরে ৩০ হাজার ৭৪৮ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এছাড়া ২৬ হাজার ১৬৫ জন রোহিঙ্গার যাচাই কার্যক্রমের জন্য অপেক্ষমান আছে।
সেই হিসেবে মোট ৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে বাংলাদেশে। এসব শরনার্থীদের পেছনে সরকারের ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক বন ও সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে সৃজিত বনজদ্রব্যের ক্ষয়ক্ষতি ও জীব বৈচিত্রের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ২০৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
খাদ্য মজুদ ১৬ লাখ ৭০ হাজার টন
মোরশেদ আলমের প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৩ জন টন চাল, এক লাখ ৫২ হাজার ২৮৩ মেট্রিন টন গম ও এক হাজার ১৮৮ মেট্রিন টন ধান।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমন সংগ্রহ মৌসুম শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান মন্ত্রী।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী জানান, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনা করে নিরাপত্তা মজুদ ১০ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টনের পরিবর্তে স্বাভাবিক সময়ের জন্য ১৩ লাখ মেট্রিক টন ও সংকটকালীন সময়ে ১৪ লাখ মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে।