জনশুমারির সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চায় সংসদীয় কমিটি

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2022, 03:05 PM
Updated : 28 July 2022, 03:05 PM

চলমান জনশুমারিতে ব্যবহার করা সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া বিশদে জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়কে।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনশুমারিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কিনতে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কমিটি জানতে চেয়েছে, এই সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠান আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে কি না-এসব বিষয় বিশদে বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”

Also Read: জনশুমারিতে অনিয়ম সহ্য করব না: পরিকল্পনামন্ত্রী

১০ বছর পর এবছর জনশুমারি করে সরকার। গত ১৫ থেকে ২১ জুন সাত দিন একযোগে তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বুধবার শুনানির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এই জনশুমারির জন্য ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল একনেক।

ডিজিটাল এ শুমারিতে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব ব্যবহার করা হয়। ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীর মাধ্যমে কাজটি হয়।

Also Read: বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার

এবার গণনাকারীর হাতে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করা হয়।

ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়, যাতে সব তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনো খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী ‘কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না।

এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালগুলোর প্রকল্প গ্রহণ/বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি সনদ (এনওসি), কার্য বিধিমালা (রুলস অব বিজনেস) ও এলোকেশন অব বিজনেস সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখন হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে তা করা হয় না। আগের তথ্য মাথায় রেখে করা হয়।

“কমিটি বলেছে, হালনাগাদ তথ্য না থাকলে প্রকল্পের ফল আশানুরূপ আসবে না। সঠিক তথ্য না থাকলেতো কাজটাই ঠিকঠাক হবে না। এজন্য আমরা বলেছি, যে কোনো পরিকল্পনা নেওয়ার আগে যাতে হালনাগাদ তথ্য যোগাড় করা হয়।”

এছাড়া উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের সময় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে রেখে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে বলে সাবের জানান।

বৈঠকে বৈশ্বিক বিবেচনায় জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের দায় ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যেন উপস্থাপন করে এ বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার ও মাশরাফি বিন মুর্তজা অংশ নেন।