জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-২ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২৯ অগাস্ট তার ও স্বজনদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
Published : 17 Oct 2024, 08:35 PM
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, তার স্ত্রী সাইদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল দেশত্যাগ ঠেকাতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কাছে চিঠি দেন দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করা সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. জিন্নাতুল ইসলাম।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সংস্থাটি মনে করছে, এই তিন জন অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কারণেই পুলিশকে এমন উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
“অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।”
জিল্লুল রাজবাড়ী-২ আসনের আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। চলতি বছরের শুরুতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
গত ৫ অগাস্ট তুমুল গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে পুরো চিত্র পাল্টে যায়। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী ও দলের সংসদ সদস্যরা পড়েন তোপের মুখে।
গত ২৯ আগস্ট জিল্লুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুদক। কারণ হিসেবে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগের কথা বলা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জিল্লুল ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমসহ পরিবারটির দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা, বনানী ও রাজবাড়ী শহরে বিলাসবহুল বাড়ি ও রাজবাড়ীর তিন উপজেলায় ৫০০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। তাকে আগামী ২৩ অক্টোবর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ভুয়া রোগী সাজিয়ে সরকারি অনুদানের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, কোভিডের সময় প্রশিক্ষণ না করিয়ে বিল উত্তোলন এবং কাজ না করেই টিআর, কাবিখার মতো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে দুদকের অভিযোগে।