সংখ্যায় বেশি হলেও বইয়ের মান নিয়ে সংশয় আছে: বইমেলায় মিলন

"প্রতি বছর অপেক্ষা করি কখন ফেব্রুয়ারি আসবে, এই মাসে আমি কোন কাজ হাতে রাখি না। অপেক্ষায় থাকি কখন বইয়ের রাজ্যে বসবো।"- এভাবেই বইমেলা নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2009, 10:40 AM
Updated : 9 Feb 2009, 10:40 AM
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-- "প্রতি বছর অপেক্ষা করি কখন ফেব্রুয়ারি আসবে, এই মাসে আমি কোন কাজ হাতে রাখি না। অপেক্ষায় থাকি কখন বইয়ের রাজ্যে বসবো।"- এভাবেই বইমেলা নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন।
সোমবার অনন্যা প্রকাশনীর সামনে জমে ওঠা ভিড় ঠেলে উঁকি মারতেই দেখা গেলো স্টলের ভেতর অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত মিলনকে। অটোগ্রাফ দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কথা বললেন তিনি।
মিলন বললেন, মেলার আয়তন কমে যাওয়ায় এখন মানুষের সংখ্যা কম হলেও অনেক ভিড় মনে হচ্ছে। ১৮-১৯ তারিখের পরে ভিড় আরো বাড়লে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা ভাবতেই আতঙ্ক লাগছে তার।
বইয়ের মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ লেখক বলেন, "এইবার বই প্রকাশের সংখ্যা বেশি হলেও মান নিয়ে সংশয় আছে। এইসব বইয়ে ভাষা, বাক্য ও শব্দগত ভুল রয়েছে অনেক। ভালো বই বলতে আমরা যা বুঝি তা এসব বইয়ে নেই। সংখ্যায় কম হলেও প্রয়োজন মানসম্পন্ন বই।"
শিশুদের বইয়ের স্টলগুলোতে বেশিরভাগই বিদেশী বই-- সাংবাদিকদের এ অভিযোগের জবাবে ছোটদের জন্যও কিছু বইয়ের লেখক মিলন বলেন, "বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে শিশুদের জন্য আরো বেশি বই লেখা প্রয়োজন। বিদেশী বই অনুবাদ করার পরে এগুলো আর মূল বইয়ের মতো থাকছে না। অনুবাদও খুবই নিুমানের হচ্ছে। এগুলো শিশুদের ভাবনার জগতকে বিস্তৃত করতে পারছে না।"
একাডেমীর তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে মেলার নবম দিনে মোট ৯১টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার বাংলা একাডেমীর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৬ ফেব্র"য়ারি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। এর আগে ২০ ফেব্র"য়ারি পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সৃজনশীল, মননশীল এবং শিশু বিষয়ক- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
সেরা স্টলের জন্য ২৮ ফেব্র"য়ারি পুরস্কার ঘোষণা করা বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ জানান, অন্য প্রকাশনা সংস্থার বই রাখার জন্য চারটি স্টল থেকে ৫০ থেকে ৬০টি বই জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "এই দায়িত্ব মূলত পুস্তক প্রকাশকদের নেওয়া উচিত ছিল। তারা সচেতন হলে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটতো না।"
মেলায় 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শের' প্রকাশকদের বেশি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে- এই অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের আদর্শের মাত্র তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে স্টল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুইটিকে স্টল দেওয়া হয়েছে। একটিকে দেওয়া হয়নি, কারণ তারা কোনোবারই স্টলের টাকা দেয় না। তাই এই অভিযোগ সত্য নয়।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জেএফ/কিউএইচ/এসকে/২২৩৯ঘ.