‘উইমেন জার্নালিস্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’র আওতায় ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ দিয়েছে ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) একাডেমি।
শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘সেলিব্রেটিং ইয়াং উইমেন ইন জার্নালিজম অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টস’ শিরোনামে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তাদের এ সনদ দেওয়া হয়।
এ বছরের শুরুতে তিন মাসের মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ গ্রহণ করাসহ ১০টি যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তারা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উন্নয়ন শাখা ডিডব্লিউ একাডেমি বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা তাদের মেন্টরশিপ ও সাংবাদিকতার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, এ পেশার নারীদের এখনও ‘নারী সাংবাদিক’ বিবেচনা করা হয়।
“সাংবাদিকতাকে এখনও ছেলেদের কাজ বলে মনে করা হয়। তবে আজ দেশের গণমাধ্যমে নারী সাংবাদিকদের যে অবস্থান তৈরি হয়েছে তা নূরজাহান বেগম ও রাজিয়া খান আমিন এর মত পথিকৃতদের অবদান রয়েছে।”
এমন পরিচয়ের বলয় থেকে বেরিয়ে ‘সাংবাদিক’ পরিচয় প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “এখন যে নারীরা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন এবং আসছেন, পরের প্রজন্মের জন্য নারী সাংবাদিকতার পথ আরও সুগম করার দায়িত্ব তাদেরই হাতে।”
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডয়চে ভেলের সিনিয়র কসনালটেন্ট লুৎফা আহমেদ এবং মেন্টরশিপের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রশিক্ষক মাইনুল ইসলাম খান।
ডিডব্লিউ একাডেমি ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার শিক্ষাগত এবং পেশাগত উন্নয়নসহ মুক্ত গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।