“আমি সংসদ নেত্রীকে বলব তাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে, বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয়।”
Published : 12 Jun 2024, 09:30 PM
বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশে মিরনজিল্লা কলোনি থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্ছেদের আগে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “এখানে (মিরনজিল্লা কলোনি) প্রায় তিন হাজারের মত হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন বহুদিন যাবত, যুগের পর যুগ। তারা যে এলাকায় থাকেন সেটা নিয়ে মার্কেট করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
“তাদের আগে থেকে দাবি ছিল বিকল্প ব্যবস্থা করে যেন তাদের উচ্ছেদ করা হয়। কালকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদের সন্তানেরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে, যার জন্য উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। আমি সংসদ নেত্রীকে বলব তাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে, বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয়।”
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুজিবুল হক বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঢাকা শহরের কিছু কিছু এলাকায় যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে সেবা দিয়ে আসছে।
চার মোবাইল ফোন কোম্পানির ১৫২ কোটি টাকার ভ্যাট সংক্রান্ত সুদ মওকুফের অভিযোগে এনবিআরের সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রসঙ্গও তোলেন চুন্নু।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন।
দেশের স্বার্থে এই ঘটনাকে ‘কঠিনভাবে’ দেখা উচিত মন্তব্য করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “চারটি মোবাইল কোম্পানির সুদ উনি মাফ করে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা হল? তাহলে এনবিআরের চেয়ারম্যান, আর্থিক-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায় গেলেন? তারা কি এ খবরটা রাখেন নাই, এ সমস্ত অনিয়ম যে হচ্ছে?”
হাসপাতালের আইসিইউগুলোতে রোগীর মৃত্যুর পর লাশ আটকে রাখা হয় জানিয়ে তিনি এ বিষয়েও কঠোর নজরদারির দাবি জানান।
চুন্নু বলেন, “সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ স্বল্পতা আছে। ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বড় বড় হাসপাতালে রোগী মারা যাওয়ার পরেও আইসিইউতে নিয়ে আটকে রাখে। দুই-তিন পরে বলে সে নাই।
“স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুপারভিশন করে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পত্র-পত্রিকায় নিউজের পরে আমরা বলি, এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দুই-একদিন অভিযান দেখি। তারপর দেখি ঘুমিয়ে গেছে। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টের বিষয়টি কঠিনভাবে দেখা প্রয়োজন।”