“অফিসিয়াল প্রোগ্রাম হলে সেখানে নৈতিকভাবে এবং সরকারি সার্কুলার অনুসারে উপস্থিত হতে বাধ্য অফিসাররা,” বলেন ডিএমপি কমিশনার।
Published : 29 Apr 2023, 10:44 PM
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে ঈদের পরদিন সন্ধ্যায় আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় ঊর্ধ্বতন ৪৬ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৯ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এবং ১৭ জন সহকারী কমিশনার (এসি) আছেন; যাদের গত সোমবার ‘শোকজ’ করা হয়।
ওই নোটিসে বলা হয়েছে, “ঈদের পরদিন আয়োজিত ডিএমপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ৪৬ কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন। এটি অপেশাদার ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈধ আদেশ অমান্য করার শামিল। এ ক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে তা প্রতিফলিত হবে না- তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।”
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা খুবই রুটিন ওয়ার্ক। বাহিনীতে যেকোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমাদের একটা নিয়ম হল যে- এটা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান না, এটা হল একটা অফিসিয়াল প্রোগ্রাম। অফিসিয়াল প্রোগ্রাম হলে সেখানে নৈতিকভাবে এবং সরকারি সার্কুলার অনুসারে উপস্থিত হতে বাধ্য অফিসাররা।
“কিন্তু ডিএমপিতে এটার প্র্যাক্টিস নাই অনেকদিন। তারা এই প্রাক্টিস ভুলে গিয়েছিল। তাদের বলার পরও তারা এই প্র্যাক্টিসে আসছেন না। এজন্য তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে যে, তারা স্টেশনে ছিল কি না, থাকলে পরে ডিউটিতে ছিল কি না, কেন অনুষ্ঠানে আসে নাই ইত্যাদি। জাস্ট শৃঙ্খলা ফেরত আনার চেষ্টা আর কিছু না।”
এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী গেলে অনেক ধরনের শাস্তির বিধান আছে; আবার সতর্ক বা সাবধান করাও যায়- সবকিছুই আছে। আইন অনুসারে, তারা অসদাচরণের মধ্যে পড়লে-সেই অনুযায়ী সাজা আছে।”
ডিএমপি নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে ডিএমপির তরফে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ওই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নৈশভোজের পাশপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও ছিল।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার ফারুক বলেছিলেন, “আমরা ডিএমপি পুলিশ দুই কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা ব্যস্ত থাকি। শারীরিক ও মানসিক- দুইভাবেই পরিশ্রান্ত থাকি।
“ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা, যাতায়াতের ব্যবস্থা করা এবং ফাঁকা মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএমপি পুলিশ এখনও কাজ করে যাচ্ছে। তারা অনেকেই ছুটিতে যেতে পারেনি। তাই আমরা আজকের দিনে ডিএমপি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একত্রে মিলিত হয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছি।”