এবার জিতলে কাজ করবো চারগুণ: লিটন

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে কাজের পরিমাণ আগের চারগুণ করার প্রতিশ্রুতি নগরবাসীকে দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শহীদুল ইসলাম, রাজশাহী থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2013, 06:25 AM
Updated : 13 June 2013, 12:48 PM

প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গত মেয়াদে দায়িত্ব পালনের সময় ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

নগর কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পুনরায় ভোট চেয়ে লিটন বলেন, “আমাকে আবার মেয়র নির্বাচিত করলে বিগত সময়ে যা করেছি, তার চারগুণ বেশি কাজ করব।”

রাজশাহী নগরে কলকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে ৫০ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

“এই শহরকে শিক্ষা ও শিল্প নগরী হিসাবে পরিণত করতে চাই।”

সাবেক মেয়র বলেন, “সব কাজ শেষ করতে পৌনে পাঁচ বছর বেশি সময় নয়। সবাইকে খুশি করতে পারিনি। অনেকের মনে দুঃখ-আক্ষেপ আছে। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”

“আমি মহামানব নয়, সাধারণ মানুষ। কতটুকু পেরিছি আর কতটুকু পারিনি তার ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।”

রাজশাহীবাসীর জন্য আরো দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদকে আলাদা করে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী সিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবেন বলেও আশ্বাস দেন লিটন।

বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মেয়র থাকাকালে নগর ভবন অনিয়ম-দুর্নীতির কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার পাশাপাশ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো দাবি করে তা থেকে উত্তরণ ঘটানোর দাবিও করেন লিটন।

লিটনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গত সাড়ে চার বছরে লিটন রাজশাহীর চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন।

জাতীয় নেতা এএইচএম কামরুজ্জামানের ছেলে লিটনকে পুনরায় ভোট দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ওয়ার্কার্স পাটির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

বৃহস্পতিবার সারদায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে লিটন বলেন, “প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তো ঢাকা বসেই তা ভালোভাবে করা যায়। এজন্য রাজশাহী আসার দরকার হয় না।”

নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বলে বিরোধী দলের অভিযোগ নাকচ করে বাদশা বলেন, “সেখানে গাড়ির স্টিকারের জন্য গিয়েছিলাম, কিন্তু তা পাইনি।”

রাজশাহী নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ সাফিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান, ভাষা সৈনিক মোশাররফ হোসেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী লিকু, ন্যাপের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, সাংসদ শাহরিয়ার আলম সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।