সরকারের পক্ষ থেকে বড় আকারে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
Published : 28 Aug 2024, 01:06 AM
সরকার পতনের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সময় থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র জমা দিতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বেঁধে দিয়ে বাহিনীটি বলেছে, এরপর কারও কাছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বড় আকারে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান এক বার্তায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের লুট হওয়া ১ হাজার ৮৯০টি অস্ত্র, ৯২ হাজার রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৮৮০টি টিয়ারশেল ও ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে ভারত চলে গেলে থানায় থানায় হামলা-আক্রমণ হয়। জনরোষের মুখে দেশের বেশির ভাগ থানা থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ। অরক্ষিত থানা ও ফাঁড়ি থেকে কয়েক হাজার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। লুট হওয়া এসব অস্ত্র নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
ওই দিনই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
লাইসেন্সধারীদের তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে।