রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে দুইদিন আগে রোজিনা নামের যে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তিনি সতীনের হাতে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপকিশনার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, স্বামী মো. আকাশ ওরফে সঞ্জিত সাহার (৩১) ধর্মান্তরিত হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের তথ্য জানার পর তার প্রথম স্ত্রী মালা সাহা (২৫) কাচ দিয়ে গলা কেটে রোজিনাকে হত্যা করেন।
আকাশ ওরফে সঞ্জিত সাহা এবং মালা সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলছে, দুইজনে পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে পুলিশ কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রামের বাসা থেকে রোজিনার (২৫) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী আকাশ প্রায় দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি কারাখানার শ্রমিক রোজিনাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চার মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, “আকাশের আগের নাম ছিল সঞ্জিত সাহা। প্রায় এক যুগেরও বেশি আগে তার সঙ্গে মালা সাহার বিয়ে হয়। তদের দুই সন্তান রয়েছে।
“প্রথমে এটি (হিন্দু পরিচয়) সে রোজিনার কাছে গোপন করে। পরে বিয়ের সময় সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মো. আকাশ নাম ধারণ করে।”
ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করায় আকাশের দুই স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল জানিয়ে ওসি কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “মালা সাহা কেরানীগঞ্জে থাকে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন মালা বোরখা পরে সেখান থেকে রোজিনার বাসায় গিয়ে তাকে লুকিং গ্লাসের কাঁচ দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
“এই পরিকল্পনার সঙ্গে সাথে আকাশও জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার পর আকাশকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার কথাবার্তায় সান্দেহ হলে মালাকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই পুরো ঘটনা প্রকাশ পায়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলেও জানান ওসি সাইফুল।