সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন আর নেই

প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) চেয়ারম্যান সাংবাদিক ও কলামনিস্ট হাবিবুর রহমান মিলন মারা গেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2015, 04:04 AM
Updated : 14 June 2015, 08:53 AM

শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।

একুশে পদকপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান মিলন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক। আশি ও নব্বইয়ের দশকে সন্ধানী ছদ্মনামে ইত্তেফাকে তার নিয়মিত কলাম ‘ঘরে-বাইরে’ ছিল পাঠকপ্রিয়।

তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।  

হাবিবুর রহমানের মেয়ে অদিতি রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার বাবা কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত ২ জুন হাসপাতালে ভর্তি করার পর অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাত ৮টার দিকে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হাবিবুর রহমানের মরদেহ তার ইস্কাটনের বাসায় রাখা হয়েছে। সাবেক সহকর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রোববার বেলা ১টায় তার কফিন জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে নেওয়া হবে পিআইবিতে।

হাবিবুর রহমান মিলনের পাঁচ মেয়ে এক ছেলের মধ্যে এক মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। তিনি দেশে পৌঁছালে সোমবার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে এই সাংবাদিককে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন। সাংবাদিকদের দাবি আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি ছিলেন সরব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হাবিবুর রহমান মিলনের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৬৩ সালে, দৈনিক সংবাদে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। এক দুর্ঘটনায় বড় ভাই আহমেদুর রহমানের মৃত্যুর পর সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন।

আহমেদুর রহমান ছিলেন ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক। ভিমরুল ছদ্মনামে তার কলাম সে সময় যথেষ্ট পাঠকপ্রিয় ছিল।

হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এমএ আজিজ ও আবদুল জলিল ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন এবং ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মিরু আলাদা বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।