বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
Published : 09 Nov 2014, 12:36 PM
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইনসচিব ও সংসদ কার্যালয়ের সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে আগামী ২৬ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছে আদালত।
গত ৫ নভেম্বর নয় আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এই রিট আবেদন করেন। আদালতেও বাদীপক্ষে তিনিই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, “একটি রিট মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্স বাতিল করলেও সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের বিচারক অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সংরক্ষণ করা হয়েছে। পুনঃমুদ্রিত সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্তও করা হয়।
“কিন্তু হঠাৎ করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইন ২০১৪ পাস হয় এবং গত ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ”
রিটকারীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আদালত অবমাননা আইন, সংশোধিত দুদক আইনের অংশ বিশেষ হাই কোর্ট বাতিল করায় এবং নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় আদালত আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ায় প্রশাসন ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করতে’ এ সংশোধনী এনে থাকতে পারে।
মোতাহার হোসেন সাজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আদালতে বলেছি, সংশোধনী হলেও সংশ্লিষ্ট আইন এখনো হয়নি। তাই এ পর্যায়ে এই রিট চলতে পারে না। আইন হওয়ার পর পুরো বিষয়টা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।”
তিনি বলেন, আদালতের কাছে তিনি সময় চাইলেও বিচারক রুল জারি করে বলেছেন, বিবাদীদের বক্তব্য পরে শোনা হবে।
গত সেপ্টেম্বরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসের মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ও আইনজীবীদের একটি পক্ষ শুরু থেকেই সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছিল।
এই রিটের বাকি আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, ইমরান কাওসার, মো. মামুন আলিম, মো. একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মাহবুবুল ইসলাম, মো. নুরুল ইনাম বাবুল, শাহীন আরা লাইলি, রিপন বাড়ই।