বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে পাকিস্তানে বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূতসহ কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
Published : 05 Nov 2014, 12:18 AM
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে এই দাবি জানায় যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা সংগঠনটির মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে ইমরান বলেন, নিসার আলী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং বাংলাদেশের সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের দৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে।
“পাকিস্তান সরকারের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ দেশের জামায়াতকে কে মদদ দিচ্ছে, জনমনে ধারণা রয়েছে। এই কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশে জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নিসার আলীর প্রতিক্রিয়া পাকিস্তান জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নিসার আলী বলেছেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও পাকিস্তান ১৯৭১ সাল ও পরবর্তী পর্যায়ের ঘটনাবলী নিয়ে চুপ থাকতে পারে না।
“আমি এটা বুঝতে পারছি না, কেন বাংলাদেশ সরকার অতীতের কবর খুঁড়ে অশান্তি বাড়াচ্ছে এবং পুরনো ক্ষতগুলো আবার খুঁচিয়ে আলগা করছে।”
একাত্তরে সশস্ত্র যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশের। ওই যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর হয়ে যারা মানবতারোধী অপরাধ চালিয়েছিল, তাদের বিচার এখন হচ্ছে বাংলাদেশে।
ওই বিচারের রায়ে জামায়াত আমির নিজামীর প্রাণদণ্ড হয়েছে। দলটির শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন নেতারও যুদ্ধাপরাধের জন্য সাজা হয়েছে।
ইমরান পাকিস্তানের সঙ্গে সব বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানান।
সেইসঙ্গে ১৯৪৭ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে যে সম্পদ পাকিস্তানে নেওয়া হয়েছিল, তা আদায়ে বাংলাদেশ সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
ইমরান বলেন, “একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কী পরিমাণ সম্পদ পাকিস্তান পাচার করা হয়েছিল, তার একটি পূর্ণ হিসাব করে এবং আন্তর্জাতিক তৎপরতার মাধ্যামে আদায় করবার আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।”