মীর কাসেম ঢাকা কারাগারে

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নেতা মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2014, 09:00 AM
Updated : 31 Oct 2014, 06:41 PM

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ফরমান আলী জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে মীর কাসেমকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

বেলা ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন এই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে চলতি বছর পহেলা এপ্রিল তাকে ঢাকা থেকে কাশিমপুরে নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাসেমের মামলার শুনানি শেষে রোববার রায় ঘোষণার দিন রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে বুধবার আলবদর প্রধান ও জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল-১।

এ রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামী।

সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, রায়ের সময় আদালতে আসামির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে তাকে আগেভাগেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী স্বাধীনতাবিরোধী মূল ধারার সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

একাত্তরে আলবদর বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক, চট্টগ্রাম গণহত্যার নায়ক এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম। গ্রেপ্তারের আগে তিনি জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে দুটি ছাড়া সব অভিযোগেই অপহরণ করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।

ওই দুটি অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২৮ নভেম্বর ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় মীর কাসেমের নির্দেশে। অপর অভিযোগে মীর কাসেমের নির্দেশে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন এবং শেষে দুইজনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার কথা বলা হয়েছে।

বাকি অভিযোগগুলোতে ওমর-উল ইসলাম চৌধুরী, লুৎফর রহমান ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খান, আব্দুল জব্বার মেম্বার, হারুন অর-রশিদ খান, মো. সানাউল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কুদ্দুস, সৈয়দ মো. এমরান, জাকারিয়া, সুনীল কান্তি বর্ধন ও নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।