জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
Published : 24 Jun 2014, 10:22 AM
মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি রয়েছে র্যাবও।
ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অন্যান্য বারের মতো এবারও রায়কে ঘিরে যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কেউ তৈরি করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা তাদের অনুরোধ করে বলেছি-ট্রাইব্যুনালকে একেবারে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলতে হবে। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন- তারা সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর থাকবেন।”
ট্রাইব্যুনালের কাছে দোয়েল চত্বর, শিক্ষাভবন, গুলিস্তানে যাওয়ার সড়কে রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। সকাল থেকেই এসব এলাকা অতিক্রমের সময় অধিকাংশ মানুষকেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
হাইকোর্ট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “দোয়েল চত্বর, গনিরোড, মাজার রোড ও ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে অন্তত এক হাজার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।”
পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, “পুলিশ যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তৈরি রয়েছে। আইন ভঙ্গকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।”
এদিকে, র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, “ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কতজন র্যাব নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে তা কৌশলগত কারণে বলা যাবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি সেখানে পর্যাপ্ত র্যাব সদস্য রয়েছেন।”
নিজামীর রায় হবে যুদ্ধাপরাধ মামলার দশম রায়। এর আগের নয়টি মামলায় জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আটজন এবং বিএনপির দুই নেতাকে দণ্ডাদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এদেরমধ্যে একমাত্র জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয় গত ১২ ডিসেম্বর।
২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গত বছর ১১ ডিসেম্বর জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২৮ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগ আমলে নেয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের আমির নিজামীর বিরুদ্ধে।