মুদ্রা পাচারের মামলার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে।
Published : 12 Mar 2014, 09:47 PM
গুলশানের বাড়ি থেকে বুধবার রাতে আটকের পর তাকে প্রথমে গুলশান থানায় নিয়ে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এরপর তাকে রমনা থানায় পাঠানো হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। মুদ্রা পাচারের অভিযোগে দুদক রমনা থানায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলাটি করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএনপি নেতাকে দুদকের মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের একজন ও সাবেক মন্ত্রী মোশাররফকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়।
তার ছেলে ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে পুলিশ ও দুদক কর্মকর্তারা এসে তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ফাইল ছবি
দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচার করেছেন।
এই মামলায় মোশাররফ হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তা বাতিল করে।
খালেদার নিন্দা
খন্দকার মোশাররফকে আটকের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, নেতাদের গ্রেপ্তার করে বিরোধী দলের আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যকে বুধবার রাতে আটক করে থানায় নেয়ার পর দলীয় চেয়ারপারসন এক বিবৃতিতে সরকারকে এই হুঁশিয়ারি দেন।
খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাকে ছেড়ে দিতে দাবি জানান খালেদা।
তিনি বলেন,“বর্তমান অবৈধ সরকার বিরোধী দলকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে চক্রান্তের জাল বুনে যাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার সেই চক্রান্তেরই অংশ।
“আওয়ামী লীগ ভাবছে, বিরোধী নেতা-কর্মীদের কারাগারে অন্তরীণ রাখতে পারলেই আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যাবে। এই ভ্রান্ত ধারণা এবং অলীক স্বপ্নই তাদের জন্য একদিন কাল হবে।”