সোমবার ভোররাতে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় শহীদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই বাসা থেকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ৬২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিন আগে গত ২ জানুয়ারি ভোরে গেণ্ডারিয়ার ওই বাসা থেকে শহীদের সহযোগী হাফিজুর রহমানকে (৫০) আটক করে র্যাব।
তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও একটি শটগান। শহীদ বাসায় থাকলেও তাকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শেষরাতের অভিযানের পর মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১০ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, শহীদের বাসায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান ও নাশকতার পরিকল্পনা করার নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালান।
“আমাদের কাছে তথ্য আসে, ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহীদ কমিশনারের বাসায় অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তার ভিত্তিতে গেন্ডারিয়ার চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় অভিযান চালান আমাদের সদস্যরা।”
অভিযানে শহীদকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকিরা বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন সারোয়ার।
তিনি বলেন, “বাড়ির মূল ফটকসহ সিঁড়িতে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা থাকায় প্রায় ঘণ্টাখানেক অভিযান চালাতে হয়েছে। এ সুযোগে বাড়ির পেছন দিয়ে সন্ত্রাসীরা রশি বেয়ে নেমে যায়।”
র্যাব-১০ অধিনায়ক দাবি করেন, “অভিযানের সময় শহীদ কমিশনার পালানোর চেষ্টা করলেও র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে। বাসায় তল্লাশি চালিয়ে চারটি অগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ৬২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।”
এর মধ্যে রিভলবারটির বৈধ কাগজপত্র পাওয়া গেলেও অন্য তিনটি অস্ত্র ‘অবৈধ’ বলে খন্দকার গোলাম সারোয়ার জানান।
তিনি বলেন, শহীদের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় অনেকগুলো মামলা রয়েছে।
অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মণ্ডল হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে শহীদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ হলেও ১০ বছর জেল খাটার পর বছর পাঁচেক আগে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান শহীদ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরো কয়েকটি হত্যা মামলা উচ্চ আদালতে আটকে আছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা শহীদ সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসেন এবং ঢাকা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।