গোপালগঞ্জ থাকবে না: খালেদা

গুলশানের বাসার সামনে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের তিরস্কার করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, তারা ক্ষমতায় গেলে গোপালগঞ্জের নামই বদলে দেবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2013, 10:36 AM
Updated : 29 Dec 2013, 10:36 AM

রোববার বিকালে সমাবেশ করতে নয়া পল্টনে যেতে না পেরে নিজের বাড়ির প্রাঙ্গণেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। একই সময় তিনি নিরাপত্তাকর্মীদেরও তিরস্কার করেন।

সোয়া ৪টার দিকে হঠাৎ করেই এক নারী নিরাপত্তাকর্মীকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, “এই যে মহিলা, আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেন তো কী বলছিলেন এতক্ষণ ধরে? মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলিয়ে যাবে বুঝছেন, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।”

এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, “হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না, দেশের সঙ্গে থাকেন, জনগণের সঙ্গে থাকেন। আপনাদের তো রাস্তার মধ্যে থাকার কথা, বাড়ির মধ্যে এসছেন কেন?

“আপনাদের মেয়েরা এত ঝগড়া করে কেন? বেয়াদব কোথাকার! আপনাদের অফিসার কোথায় গেল? বোঝেননি? এটা তো বাংলা ভাষা। আপনাদের সেই অফিসার কোথায়, যে আমার সঙ্গে কথা বলেছিল, তাকে ডাকেন। তাকে বলবেন আমার সঙ্গে যেন দেখা করে। আমি তার সঙ্গে কথা বলবো।”

এ কথা বলার পরই ফটকের ভেতরে ঢুকে যান খালেদা জিয়া।

এর আগে ফটকের ভেতরে সাদা রঙের গাড়ির সামনের আসনে প্রায় এক ঘণ্টা বসে থাকার পর পৌনে ৪টার সময় নেমে আসেন খালেদা।

এ সময় তার এক হাতে ছিল জাতীয় পাতাকা। বাড়ির উল্টো দিকে অপেক্ষায় থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে অন্য হাত নেড়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

এরপর ‘অফ হোয়াইট’ রঙের শাড়ি পরিহিত খালেদাকে পতাকা হাতে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

খালেদা জিয়ার প্রটোকলের পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করলেও সকাল থেকেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

রোববার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে হাফিজ শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সকাল থেকে তারা সমাবেশ শুরু করবেন এবং খালেদা জিয়া যে কোনো সময় এতে যোগ দেবেন।

খালেদা জিয়া একদিন আগে এক ভিডিও বার্তায় তিনি উপস্থিত হতে না পারলেও সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেন তিনি।