খেপেছে গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার বাসিন্দারা।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2013, 03:39 PM
Updated : 30 Dec 2013, 12:54 PM

রোববার বিকালে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার জেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদ, আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী এবং শ্রমজীবী সংগঠন দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

এছাড়া টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলায়ও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।

রোববার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে বের হতে না পেরে ক্ষুব্ধ খালেদা প্রথমে পুলিশের সঙ্গে এবং পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে মিনিট দশেক কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে কথা বলার ফাঁকেই পুলিশ সদস্যদের ধমক দেন এই ১৮ দলীয় জোটনেতা।

এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “এই যে মহিলা, আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেন তো কী বলছিলেন এতক্ষণ ধরে? মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলিয়ে যাবে বুঝছেন, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।”

বিরোধী নেতার এ বক্তব্যের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের চৌরঙ্গীতে ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন, গোপালগঞ্জ সম্পর্কে ‘কটূক্তি’ করায় খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে।

যুবলীগের বিক্ষোভ সামবেশে বক্তব্য রাখেন জি এম শিহাব উদ্দিন আজম, এম বি সাঈফ, শাহাবুদ্দিন হিটু, আলিমুজ্জামান বিটু, জাহেদ মাহামুদ বাপ্পী, আল আমিন, শাহআলম, শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গোপালগঞ্জের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, “কেউ ইচ্ছা করে এ জেলার নাম বদলে দিতে পারবে না, বরং বাংলার মাটি থেকে তার নাম নিশানা মুছে যাবে।”

যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় খালেদা জিয়া রাজনীতি করছেন দাবি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে এর জবাব দেয়ার জন্য গোপালগঞ্জবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।