যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার দুপুরে জানায়, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মামলার রায় মঙ্গলবার দেয়া হবে।
একে ‘প্রহেসনের’ বিচার আখ্যায়িত করে এর পরপরই জামায়াত মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে।
এর আগে দুপুরে মতিঝিলে সমাবেশ করে দলটি, যেখানে যুদ্ধাপরাধে আটক নেতাদের মুক্তি চাওয়া হয়।
হরতালের ঘোষণা দিয়ে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা। সেখান থেকে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সন্ধ্যার পর কারওরান বাজারে জামায়াত-শিবিরের ২৫-৩০ জনের একটি দল ঝটিকা মিছিল বের করে। ওই সময় দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়।
একই সময়ে মিরপুরের কাজীপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় শিবির কর্মীরা হরতালের পক্ষে ঝটিকা মিছিল বের করে।সেখানেও বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শহিদ জানিয়েছেন।
এই সব বিস্ফোরণের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “হয়ত আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তারা কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে। তবে পুলিশ সতর্ক আছে।”
সতর্কতার মধ্যেও এই সব বিস্ফোরণের ঘটনা তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, “সব জায়গায় তো পুলিশ দেয়া সম্ভব নয়।”