এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সেই দিনে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- স্লোগান লিখে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নূর হোসেন।
নূর হোসেন ছাড়াও সেই আন্দোলনে আরেক যুবলীগ নেতা নূরুল হুদা বাবুল এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাদের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
তারপর থেকে প্রতি বছরের ১০ নভেম্বর পালিত হচ্ছে নূর হোসেন দিবস। আর জিরো পয়েন্টের নাম করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নূর হোসেনের আত্মত্যাগের ২৫ বছরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বুধবার এক বাণীতে বলেছেন, নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। তার মতো শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ১০ নভেম্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। তাঁর আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।”
“গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছিল ভোট ও ভাতের অধিকার”, যোগ করেন শেখ হাসিনা।
নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। তার রক্তের ধারা বেয়েই ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় গণতন্ত্র।”
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শহীদ নূর হোসেন সংসদ সকাল ৮টায় জুরাইন নূর হোসেনের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া করবে।
আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংগঠনের সব শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও সকালে নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে।