যুদ্ধাপরাধ: নেত্রকোণার খলিলের মামলার রায় যে কোনো দিন

নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় জানা যাবে যে কোনো দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2022, 11:55 AM
Updated : 18 July 2022, 11:55 AM

সোমবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।

ওই সময় এ মামলায় ৫ আসামি ছিল। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধ: নেত্রকোণায় গ্রেপ্তার ৪

অপর চার আসামি নেত্রকোনার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজ। তাদের মধ্যে খলিলুর রহমান পলাতক।

বাকিরা গ্রেপ্তার হলেও মামলার অভিযোগ গঠনের পর বিচার চলাকালে অন্য তিন আসামি মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে ২২ জনকে হত্যা, এক জনকে ধর্ষণ, এক জনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুইজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন তিনি। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।